শেখ বাদশা, আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল কপোতাক্ষ নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন ধ্বংস। যে কোন মুহুর্তে প্লাবিত হতে পারে এলাকা। ভাঙ্গন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে উপক‚লের মানুষ। আকর্ষিক ভাঙ্গন ধ্বংস রক্ষায় বালু ভর্তি জিও বস্তা ডাম্পিং সময়ের দাবি।
গত ১৩ নভেম্বর দিবাগত রাতের জোয়ারে প্রতাপনগরের রুইয়ারবিল গ্রামের প্রবেশ দ্বারে পাঞ্জেগণা মসজিদের সামনে কপোতাক্ষ নদীর বেড়িবাঁধে প্রায় একশো ফুট স্থান জুড়ে আকর্ষিক ভয়াবহ ভাঙ্গন ধ্বংসের সুত্রপাত ঘটে এবং ঘোগা হয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। তাৎক্ষণিক রাতেই স্থানীয় ঘের মালিক ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা শাহেব আলীর নেতৃত্বে এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নাড়া কুটার মাধ্যমে ভাঙ্গন ধ্বংস রোধে চেষ্টায় সফল হয়।
সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু দাউদ ঢালী, ইউপি সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ভাঙ্গন ধ্বংস স্থান পরিদর্শনে যান। ইউপি চেয়ারম্যান ভাঙ্গন রোধে স্কো মিটার বা ভেকো গাড়ীর মাধ্যমে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করে সাময়িক ভাবে ভাঙ্গন প্রতিরোধে চেষ্টা করেন। তাৎক্ষণাৎ ভাঙ্গন ধ্বংসের বিষয়টি সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ।
ভাঙ্গন ধ্বংস স্থান সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গত বছর শীত মৌসুমে কপোতাক্ষ নদের রুয়েরবিল ভয়াবহ ভাঙ্গনের পর জরুরি ভিত্তিতে মূল ভেড়ীবাঁধ থেকে ভিতরে ২৭ টি পরিবারকে উচ্ছেদ করে দিয়ে নতুন করে বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করা হয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে অসাধু ঠিকাদার বেশি মাত্রায় বালু দিয়ে বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করায় আজ সেই বাঁধ ভেঙ্গে যেয়ে ১৩ নভেম্বর রাতের জোয়ারে কপোতাক্ষ নদীর পানি প্রবেশ করে লোকালয়ে।
উল্লেখ্য গত বছর মাটির পরিবর্তে বেশি মাত্রায় বালু দিয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার স্বচিত্র প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও সেই সময়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণে অনিয়ম এর বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করার তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আজ। এমতাবস্থায় উপক‚ল রক্ষায় জরুরী ভিত্তিতে জিও বস্তা ডাম্পিং সহ বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ জেলা প্রশাসকের আস হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।