সেলিম হায়দার, তালা অফিস : সাতক্ষীরার তালায় ঘুর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে কাঁচা ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের মহান্দি এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, কৃষকরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, বেগুন ও মুলার চাষ করেছে। অধিকাংশ কাঁচা ফসলের জমিতে পানি জমে আছে। কৃষকরা মাঠে ফসলের জমিতে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ আলু রোপনের জন্য জমি প্রস্তুর করে রেখেছেন।
অন্যদিকে বিভিন্ন সবজির বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেঁকে রেখেছেন। সেগুলোও নষ্ট হওয়ার উপক্রম। মহান্দি গ্রামের কৃষক অসীম কুমার ম-ল, আমি ৫ বিঘা জমিতে বেগুনের চাষ করেছি। এভাবে যদি ২ দিন বৃষ্টি হয় তাহলে অধিকাংশ বেগুন গাছ মারা যাবে। অসময়ে বৃষ্টির কারণে বেগুন গাছে পোকার আক্রমণ হয়, গাছ ফুল ফলে পঁচন ধরে।
একবিঘা জমিতে বেগুন চাষ করতে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। যদি ফসল ভালো হয় ও ভালো দাম পাওয়া যায় তাহলে বিঘা প্রতি ১০ লক্ষ টাকা আয় হয়। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে আমি সহ সকল বেগুন চাষী ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। আর এক কৃষক ইমান আলী শেখ বলেন, আমি প্রায় ২বিঘা জমিতে ফুল কপি ও বাঁধা কপির চাষ করেছি।
যদি এভাবে বৃষ্টি হয় তাহলে একটি কপিও আর বিক্রি করা যাবে না। বিভিন্ন জায়গা থেকে ধার দেনা করে চাষাবাদ করেছি। সবেমাত্র ফসল বিক্রয় শুরু হয়েছে। এখন যদি এই ফসল নষ্ট হয়ে যায় তাহলে পথে বসে যাব।
কৃষক মোকছেদ আলী খা বলেন, অনেকেই ধান কাঁটা শুরু করেছেন। কিছুদিন আগে কারেন্ট পোকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এখন ধান কাঁটার সময়। এখন যদি বৃষ্টি বেশী হয় তাহলে কৃষকের অধিকাংশ ধান নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র কৃষকরা পথে বসে যাব।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে কাঁচা ফলের চাষাবাদ হয়েছে। এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা হয়নি। তবে বৃষ্টি বেশী হলে ক্ষতির পরিমান বেশী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।