মোঃ আমিরুজ্জামান বাবু : সকাল কাটুক স্মৃতির পতায়, (২৮ শে নভেম্বর) মঙ্গলবার জেলার নতুন ও পুরাতন ডেকোরেটর মালিক ও শ্রমিকদের এক স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তুফান কোম্পানির কর্ণধর, সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি শেখ আব্দুল্লাহ সিরাজ। হেমন্তের সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে জেলার শতাধিক ডেকোরেটর মালিক ও সহকর্মীদের মিলনমেলার অনুষ্ঠন।
আশরাফুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চলনায় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অতীতের ফেলে আসা দিনগুলো স্মরণ করে অনেকেই কেঁদে ফেলেন। স্মৃতিকাতর হয়ে আঃ গফুর, মালেক, জবেদ বাবুর্চি সহ অনেকেই বলে ওঠে-আজ বড় ভাই আব্দুল্লাহ সিরাজের কারনেই আমরা প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছি। তার মেয়ে তামান্না এই প্রতিষ্ঠানকে নতুন ভাবে সাজানোর যে পরিকল্পনা করেছে আমরা তার পাশে থেকে অবশ্যই সহযোগিতা করব। এভাবে স্মরণে আর শ্রদ্ধায় আলোচকদের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে আজ হতে শত বর্ষ আগে সাতক্ষীরার ডেকোরেটর শিল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা তুফান কোম্পানীর ও ডেকোরেটর প্যালেস এর কথা।
কালের সাক্ষী তুফান কোম্পানীর বংশ পরম্পরায় আজ সেই শিল্পের বিকাশ হয়েছে জেলা জুড়ে। তুফান কোম্পানী আজ জেলাজুড়ে একটি ব্রান্ড। তুফান কোম্পানীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজ এ শিল্পকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সিরাজ। তুফান কোম্পানীর মতো অনেক ডেকোরেটর মালিক তাদের জীবনের গল্প শোনালেন এ মিলনমেলায়।
এসময়, হেমন্তের মিষ্টি রোদের সোনালী সকাল যেনো স্মৃতিকাতর হয়ে উঠেছিল ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে করে। স্মৃতির মুকুলে এযেন চির অ¤øান এক সাফল্য গাঁথা। তাই স্মৃতির জানালা খুলে মনের অনুভূতি প্রকাশের মধ্য দিয়ে ডেকোরেটর মালিকরা প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন তাদের অভিজ্ঞতা। অনুষ্ঠানে তামান্নার একমাত্র মেয়ে তাজকিয়া জারিন, বাবুদের তাল পুকুরে ……! কবিতা আবৃতি করে সবাইকে মুগ্ধ করে।
এসময়, দুপুরে মধ্যাণ ভোজের আগে অন্য এক বিনোদনের ব্যাবস্থা করেন নতুন সত্বাধিকারি তামান্না তাসলিম, বিভিন্ন গান শুনিয়েছে, এসব গানের শিল্পীদের নাম যারা বলতে পেরেছে তাদের মধ্যে তিন জন কে পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল্লাহ সিরাজের সহধর্মিনি শিক্ষিকা দিল আসমা বানু, পৌর আ’লীগ নেতা কামরুজ্জামান, খায়রুল বাসার, কামরুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, গোলাম কুদ্দুস, জাহাঙ্গরি আলম ও কবির হোসেন সহ জেলার বিভিন্ন ডেকোরেটর মালিক ও সহযোগী বৃন্দ। অনুষ্ঠান টি দেখতে ঢাকা থেকে আসেন দেশের নাম করা ফকরুদ্দিন বাবুর্চির ছেলে নুরুল ইসলাম মাল্লু। বিদায় বেলায় সবাইকে শুনানো হয় এদেখাই শেষ দেখা নয় গো…..!!