নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাগুরা প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ গঠনে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ভয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় আশ্রয় নিচ্ছেন। বিদ্যালয়ের সভাপতির মৃত্যুর কারণে এই পদটি শুন্য হয় বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি পঙ্কজ কুমার দাশ ও মতিয়ার রহমান বলেন, গত ২৩ নভেম্বর সভাপতি পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনের আগে থেকে একজন প্রতিদ্বিন্দি প্রার্থীর লোকজন আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এই নির্বাচন নিয়ে আমরা শঙ্কার মধ্যে আছি।
এই নির্বাচনে উত্তম কুমার সেন ও ইপি সদস্য মইনুল ইসলাম প্রতিদ্বিন্দিতা করছেন। বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য দিলিপ বোস ও তার স্ত্রী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, বিদ্যালয়ে জমি দিয়ে আমরা ভ‚ল করেছি। সভাপতি নির্বাচন কে ঘিরে আমরা জীবনের শঙ্কায় আছি। প্রায় প্রতি রাতে ইউপি সদস্য মইনুল ইসলাম আমাদের বাড়িতে লোকজন পাঠিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। যে কোনো সময় আমার উপর আক্রমণ হতে পারে।
সভাপতি প্রার্থী উত্তম কুমার সেন বলেন, মাগুরা প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে আমি ও ইউ সদস্য মইনুল ইসলাম প্রতিদ্বিন্দিতা করছি। ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে কোনো কারণ ছাড়াই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়।
এখন সে আমার পক্ষের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ধামকি সহ বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভোটারা যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিতে পারে সে বিষয়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। ইউপি সদস্য মইনুল ইসলাম জানান, ভোটের দিন বিশৃঙ্খলা হতে পারে এমন শঙ্কায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছি।
যার কারণে তিনি ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখেন। তবে আমি কোনো ভোটারের বাড়িতে যাইনি বা কোনো প্রকার ভয়ভীতি দেখায়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার মন্ডল বলেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতির মৃত্যুর কারণে পদটি শুন্য আছে। পূনঃরায় সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক দ্বন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নির্বাচন বন্ধ আছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে পূনঃরায় নির্বাচনের বিষয়ে উদ্দ্যোগ নিতে বলেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেখ ফিরোজ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আপতত নির্বাচন বন্ধ আছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।