বিশেষ প্রতিনিধি : জেলার ৭ টি উপজেলার ৭৮ টি ইউনিয়নে ও ২ টি পৌরসভায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৭ হাজার ১৮১জন শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে৫৯ মাস বয়সী ২লাখ ২৮ হাজার ৭৮৬ জন শিশুকেলাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খায়ানো হবে। বুধবার (৫ ডিসেম্বর)বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমেজাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৩ উপলক্ষে ‘সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন এ তথ্য জানানো হয়।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ সুফিয়ান রুস্তম এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা পুলক চক্রবর্তী, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক মো. আবুল কাশেম, জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর রথীন্দ্র নাথ সরকার। এপ্লাস ক্যাম্পেইন সম্পর্কে প্রেজেন্টশনকরেন ডাঃ আশরাফুল ইসলাম।
এসময় জেলায় কর্মরতবিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, এ বছর ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পইনের উদ্বোধন হবে শিশু হাসপাতাল সাতক্ষীরায়। এইকর্মসূচী সুস্থ্য জাতী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করবে। সময় শেষ না হওয়া পর্যন্তস্বেচ্ছাসেবকদের কেউ স্থান ত্যাগ করতে পারবে না।
বক্তারা আরোও বলেন, খালিপেটে কোন শিশুকে কাপসুল খাওয়ানো যাবে না। যাকে খাওয়ানো হবে তার সামনে কেটেখাওয়াতে হবে। কাটা অংশে হাত লাগানো যাবে না। ক্যাপসুলের ভেতরের তরল অংশ ব্যতীত অন্যঅংশ খাওয়ানো যাবে না। এ সময় আরও বলেন, আগামী১২ ডিসেম্বর সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতীহিনভাবে জাতীয় ভিটামিন”এ” প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এবার জেলার ৭ টি উপজেলা, ২ টি পৌরসভা, ৭৮ টি ইউনিয়ন, ২৩৪ টি ওয়ার্ডে মোট ১৯৪১ টি টিকাদান কেন্দ্রে ৯০৫ জন সরকারি স্বাস্থ্য কর্মী এবং ৩৮৬৭ জন বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো কাজে অংশগ্রহন করবে। এবছর জেলায় ৬থেকে ১১ মাস বয়সী ২৭হাজার ১৮১ জন শিশুকে নীল রং ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সের ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৮৬ জন শিশুকে লালরঙের ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগসবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।