শেখ মোশফেক আহমেদ : নব্বই-এর গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও সাতক্ষীরায় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক অবস্থান বেশ শক্ত ছিল। ২০০৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের শরীক হিসেবে জেলার চারটি আসনের দুটিতে জয় পায় জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। দলটির নেতা কর্মীরা মনে করেন জাপার সাথে জোট হওয়ার কারণে চারটি আসনই মহাজোট বিজয় অর্জন করে।
কিন্তু পরবর্তী দুটি নির্বাচনে মহাজোটের শরীক হয়েও সেই আসন আর ফিরে পায়নি দলটি। এবার ফের কমপক্ষে দুটি আসন ফিরে পাওয়ার আশা নিয়ে মাঠে নেমেছে দলের নেতা কর্মীরা। সেই লক্ষ্যে চারটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। নব্বই-এর গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়া জাতীয় পার্টির সাতক্ষীরায় দীর্ঘ সময় সুদৃঢ় অবস্থায় ধরে রাখতে সক্ষম হয়।
৯১-এর নির্বাচনে তীব্র গণরোষের মুখেও দলটি একটি আসন জিততে না পারলেও সম্মানজনক ভোট পায়। ১৯৯৬ এবং ২০০১ এর নির্বাচনেও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা সে অবস্থা ধরে রাখেন। ২০০৯ এর নির্বাচনে জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সাতক্ষীরা জেলার চারটি আসনেই মহাজোটের প্রার্থীরা জয়লাভ করে। এরমধ্যে জাতীয় পার্টি পায় দু’জন সংসদ সদস্য। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে পূর্বের দুটি আসন মহাজোট জাতীয় পাটির প্রার্থীদের ছেড়ে দিলেও তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়।
এরপর থেকে সাতক্ষীরায় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক অবস্থা দ্রæত দুর্বল হতে থাকে। ক্ষমতা হারানোর পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) নির্বাচনী এলাকায় জামায়াত প্রার্থী আনসার আলী ৭২ হাজার ৬৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের সৈয়দ কামাল বখত ৬৭ হাজার ৫৩ ভোট পান।
বিএনপির প্রার্থী এবিএম আলতাফ হোসেন পান ৩৫ হাজার ৩৭৯ ভোট। জাতীয় পার্টির শেখ মতলুব হোসেন পান ৫ হাজার ৮৮ ভোট। এছাড়া ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ (বর্তমান ওয়ার্কার্স পাটি) প্রার্থী আব্দুর রউফ পান ৯৩৫ ভোট। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের সৈয়দ কামাল বখত ৭৬ হাজার ৭১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জামায়াতের আনসার আলী ৫১ হাজার ৫৪ এবং জাতীয় পার্টির সৈয়দ দিদার বখত ৫০ হাজার ৬৩০ ভোট পান। বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব পান ৩৯ হাজার ৬১২ ভোট।
২০০১ সালের নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনে বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম আওয়ামী লীগের শেখ মুজিবুর রহমান ১ লাখ ১৪ হাজার ৫২৭ ভোট। এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সৈয়দ দিদার বখত বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়েও শেষে উভয় দলের মনোনয়ন হারান। জাতীয় পাটির প্রার্থী শেখ আলতাফ মাহামুদ ২৫৫ ভোট এবং ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ২ হাজার ৬১১ ভোট পান।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটিতে মহাজোটের প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান ১ লাখ ৬৮ হাজার ২৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। বিএনপির হাবিবুর ইসলাম হাবিব পান ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৪ ভোট। আসনটিতে এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কোন প্রার্থী ছিলো না।
২০১৪ সালের নির্বাচনেও আসনটিতে জাতীয় পার্টির কোন প্রার্থী ছিলেন না। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ওয়ার্কার্স পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ৯২ হাজার ২০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম মুবিবুর রহমান পান ২৩ হাজার ৬১৩ ভোট। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনেও মুস্তফা লুৎফুল্লাহ নির্বাচিত হন। এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত সংবাদ সম্মেলন করে নৌকার প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহর পক্ষে সমর্থন জানান।
সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে ৯১-এর নির্বাচনে জামায়াতের কাজী সামছুর রহমান ৪৫ হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আওয়ামী লীগের এএফএম এন্তাজ আলী পেয়েছিলেন ৩০ হাজার ৭৬৭ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান ২৩ হাজার ১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন। ১৭ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে বিএনপি প্রার্থী ফরিদা রহমান চতুর্থ স্থান অধিকার করেন।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সদর আসনে রাতে ঘোষিত ফলাফল সকালে উল্টে যায়। জামায়াতের কাজী সামছুর রহমানকে ৫৪ হাজার ৯৬ ভোটে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজকে দেখানো হয় ৫৩ হাজার ৭৮৭ ভোট। আওয়ামী লীগের মো. নজরুল ইসলাম ৪৫ হাজার ৪৫০ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী এম মুনসুর আলী ১৪ হাজার ৬৮২ ভোট।
২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের আব্দূর খালেক মন্ডল ১ লাখ ২৪ হাজার ২০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের মো. নজরুল ইসলাম পান ৬৯ হাজার ৮৬১ ভোট। ইসলামী ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ ১২ হাজার ৬৩৬ ভোট পান।
২০০৮ সালের নির্বাচনে সদর আসনে মহজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির এমএ জব্বার ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জামায়াতের আব্দুল খালেক মন্ডল পান ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৭ ভোট। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির এমএ জব্বার পুনরায় সাতক্ষীরা সদর আসনে মহাজোটের মনোনয়ন পেলেও তিনি অসুস্থ্যতার কারণে দেশের বাইরে ছিলেন।
এসময় দলের একটি পক্ষ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবির পক্ষে এমএ জব্বার স্বাক্ষর জাল করে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন বলে প্রচারণা রয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ৩২ হাজার ৮৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
প্রতিদ্ব›দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল করিম সাবু পান ১৫ হাজার ৭৮৯ ভোট। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সদরে জাতীয় পাটির কোন প্রার্থী ছিল না আশাশুনি উপজেলা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-৩ আসনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের রিয়াছাত আলী ৩১ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের হাফিজুর রহমান ২৯ হাজার ৬৮০ এবং জাতীয় পার্টির স. ম. সালাউদ্দিন ২২ হাজার ৯৫ ভোট পান। বিএনপির প্রার্থী আব্দুল হালিম পেয়েছিলেন ২ হাজার ৫৩২ ভোট।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের এসএম মোখলেছুর রহমান ৩৯ হাজার ৭২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। জাতীয় পার্টির এসএম সালাউদ্দিন ৩২ হাজার ৮৭ ভোট, জামায়াতের রিয়াছাত আলী ২৩ হাজার ৪৬২ ভোট এবং বিএনপির আলী আহমেদ ৬ হাজার ৪৫৯ ভোট পান।
২০০১ এর নির্বাচনে জামায়াতের রিয়াছাত আলী ৭৩ হাজার ৫৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের এসএম মোখলেছুর রহমান পান ৫৬ হাজার ৯৮২ ভোট। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী স. ম. সালাউদ্দিন পান ৩ হাজার ১৮০ ভোট।
পরবর্তী ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটির সাথে দেবহাটা উপজেলা ও কালিগঞ্জের ৪টি ইউনিয়ন যুক্ত করা হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী আ. ফ. ম. রুহুল হক ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। প্রতিদ্ব›দ্বী জামায়াতের রিয়াছাত আলী পান ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮০২ ভোট পান। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনেও মহাজোটের প্রার্থী আ. ফ. ম. রুহুল হক এই আসনে নির্বাচিত হন।
দেবহাটা ও কালিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সাবেক সাতক্ষীরা-৪ আসনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মুনসুর আহমেদ ৪৪ হাজার ২২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। জামায়াতের আব্দুল গফ্ফার ৪১ হাজার ৫৫২ ভোট, বিএনপির শাহাদাত হোসেন ২৬ হাজার ৭৬০ ভোট এবং জাতীয় পার্টির এম মুনসুর আলী ১৭ হাজার ৩৩২ ভোট পান।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে সাবেক সাতক্ষীরা-৪ (দেবহাটা-কালিগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির শাহাদাত হোসেন ৪৬ হাজার ৭৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের মুনসুর আহমেদ ৪৪ হাজার ২৭২ ভোট, বিএনপির ওয়াজেদ আলী বিশ্বাস ৩২ হাজার ৬৩৫ ভোট, জামায়াতের আব্দুল গফ্ফার ৩০ হাজার ১৫১ ভোট পান।
সাবেক এই আসনে ২০০১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (নাফি) প্রার্থী কাজী আলাউদ্দিন ১ লাখ ৮ হাজার পেয়ে বিজয়ী হন। নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের আ. ফ. ম. রুহুল হক পান ৬৬ হাজার ৫৬১ ভোট।
বর্তমান সাতক্ষীরা-৪ আসনে (শ্যামনগর-কালিগঞ্জের আংশিক) ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির এইচএম গোলাম রেজা ১ লাখ ৫১ হাজার ১৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম পান ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৭৫ ভোট।
২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনে জাতীয় পার্টির আব্দুস সাত্তার মোড়ল মহাজোটের মনোনয়ন পেলেও তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের এসএম জগলুল হায়দার। পরবর্তী ২০১৮ সালের নির্বাচনেও এসনএম জগলুল হায়দার বিজয়ী হন।
শুধুমাত্র শ্যামনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সাবেক সাতক্ষীরা-৫ আসনে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম ৪৫ হাজার ৭৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামী লীগের একে ফজলুল হক পান ৩৭ হাজার ৩০৩ ভোট এবং জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ৭ হাজার ৪৭৭ ভোট পান।
সাবেক সাতক্ষীরা-৫ আসনে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একে ফজলুল হক ৪০ হাজার ৭২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম জামায়াতের গাজী নজরুল ইসলাম ৩১ হাজার ১৭২ ভোট, জাতীয় পার্টির আবুল হোসেন ২৫ হাজার ৬১৬ ভোট এবং বিএনপির আব্দুল হক ১৩ হাজার ৮০১ ভোট পান।
সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজাহার হোসেন দৈনিক পত্রদূতকে বলেন, পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলে নব্বই এর ‘তথাকথিত’ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করতে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। কিন্তু সেই সরকার জাতীয় পার্টিকে মাঠ ছাড়া করার চেষ্টা করে।
তারপরও জাতীয় পার্টি ঘুরে দাঁড়ায় এবং পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে ভালো ফল করে। তিনি আরও বলেন, জামায়াত অধ্যুষিত সাতক্ষীরায় ২০০৮ সালের সকল দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মহাজোটের ব্যাপক বিজয় সম্ভব হয়েছিল জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের ভোট একত্রিত হওয়ার কারণে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে কেন্দ্রের নির্দেশে পার্টির প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। শেখ আজাহার হোসেন আরো বলেন, সাতক্ষীরার সবকটি আসনে জাতীয় পাটির প্রার্থীরা প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছে।
সাতক্ষীরা-১ আসনে সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। তিনি জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য। এই এলাকার উন্নয়ন তার হাত ধরেই শুরু হয়। সাতক্ষীরা-২ আসনে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক একজন শক্তিশালী প্রার্থী। নির্বাচনে তিনিই বিজয়ী হবেন দাবী জানিয়ে বলেন, জনগণ বিকল্প চাচ্ছে। সাতক্ষীরা-৩ আসনে প্রার্থী নবীন হলেও তার পারিবারিক ঐতিহ্য আছে। জনগণ স.ম. আলিফ হোসেনের পরিবারকে চেনে। যেকারণ এ আসনেও জাতীয় পাটি জোর প্রতিদ্ব›দ্বীতা করবে।
সাতক্ষীরা-৪ আসনে দুইবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবর রহমান ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। তবে এই আসনে জাতীয় পাটির সাবেক একজন সংসদ সদস্য অচেনা একটি নতুন দলের প্রার্থী হওয়ায় জনগণের মধ্যে কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। দ্রæত এ বিভ্রান্তি কেটে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।