মোঃ আমিরুজ্জামান বাবু : পৌষের মিষ্টি সকালটা কে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে, জেলার নতুন ও পুরাতন ডেকোরেটর ব্যবসার যারা চালিকা শক্তি সেই শ্রমিকদের এক স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তুফান কোম্পানির কর্ণধর ও সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি শেখ আব্দুল্লাহ সিরাজ। শীতের শিরির ভেজা সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে জেলার বহু ডেকোরেটর সহকর্মীদের মিলনমেলা।
আশরাফুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চলনায় দীর্ঘ জীবনের স্মৃতিচারণ করেন ডেকোরেটর শ্রমিক ও সহকর্মীরা। এসময়, সকল সহকর্মী ও শ্রমিকরা তামান্না এই প্রতিষ্ঠানকে নতুন ভাবে সাজানোর যে পরিকল্পনা করেছে এই জন্য আমরা তার পাশে থেকে অবশ্যই সহযোগিতা করব। এভাবে স্মরণে আর শ্রদ্ধায় আলোচকদের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে আজ হতে শত বর্ষ আগে সাতক্ষীরার ডেকরেটর শিল্পের স্বপ্নদষ্টা তুফান কোম্পানীর ও ডেকোরেটর প্যালেস এর কথা।
ত্রিকালের সাক্ষী তুফান কোম্পানীর বংশ পরম্পরায় আজ সেই শিল্পের বিকাশ হয়েছে জেলা জুড়ে। তুফান কোম্পানী আজ জেলাজুড়ে একটি ব্রান্ড। তুফান কোম্পানীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজ এ শিল্পকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ সিরাজ। তুফান কোম্পানীর মতো অনেক ডেকরেটর মালিক তাদের বিকাশের গল্প শোনালেন এ মিলনমেলায়।
এসময়, পৌষের মিষ্টি রোদের সোনালী সকাল যেনো স্মৃতিকাতর হয়ে উঠেছিল ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে করে। স্মৃতির মুকুরে এযেন চির অ¤øান এক সাফল্য গাঁথা। তাই স্মৃতির জানালা খুলে মনের অনুভূতি প্রকাশের মধ্য দিয়ে ডেকরেটর শ্রমিকরা প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন তাদের অভিজ্ঞতা। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যয়ে অন্য এক বিনোদনের ব্যবস্থা করেন নতুন সত্বাধিকারি তামান্না, বিভিন্ন গান শুনিয়েছে, এসব গানের শিল্পীদের নাম যারা বলতে পেরেছে তাদের মধ্যে তিন জন কে পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল তৈয়ব হাসান খান বাবু, সাবেক ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক শেখ নিজাম উদ্দিন সহ জেলার বিভিন্ন ডেকোরেটর শ্রমিক সহযোগী বৃন্দ।
