লিংকন আসলাম, আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনির গোদাড়ায় দিনমজুরের বসতবাড়ী আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে । সরোজমিনে গিয়ে জানা যায় স্ত্রী-সন্তানসহ ছয় জনের পরিবার নিয়ে টিনের ঘরে থাকতেন মো. আহসান গাজী। মানুষের বাড়িতে দিনমজুরি করে যা আয় হয়, তা–ই দিয়ে কোনোমতে চলে অভাবের সংসার। অভাবের তাড়নায় বর্তমানে ঢাকায় রিকসা চালিয়ে চলে তার সংসার।
দীর্ঘদিন ধরে অল্প অল্প করে জমিয়েছিলেন সামান্য কয়টা টাকা তা দিয়ে নিজ ফুফুদের নিকট হতে আট শতক জমি ক্রয় করে কাটের বেড়া ও টিনের ছাউনি দিয়ে থাকতেন সেখানে। টানাটানির সংসারে এটুকুই ছিল তাঁর সঞ্চয়। ঘর আর আসবাব পত্রে সঙ্গে কাপড়পত্র সব কিছুই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের দক্ষিণ গোদাড়া গ্রামে।
শনিবার দিবাগত রাত অনুমান সাড়ে ১২টার দিকে আহসান গাজী দিনমুজুরের কাজের জন্য ঢাকা থাকায় তার স্ত্রী নাজমা খাতুন ও ৬ মাসের ও ছেলে-মেয়ে সহ ৪জন ঘুমাচ্ছিলেন ঘরে। হঠাৎ আগুনের ঝলকানি ও তাপে ঘুম ভেঙ্গে যায় নাজমা খাতুনের। সন্তানদের প্রাণ বাচাতে মরিয়া হয়ে কোনরকম বাহিরে আসেন তিনি। তখন ঘরের পিছনের অংশ দাউ দাউ করে জ্বলছে।
তাদের কান্নার শব্দে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে নিভাতে নিভাতেই সব চোখের সামনে দীর্ঘদিন ধরে একটু একটু করে গোছানো সংসারের সবকিছুই পুড়ে শেষ হয়ে যায় বলে কান্না জড়িত কণ্ঠে ক্ষতিগ্রস্থ নাজমা খাতুন সহ প্রত্যক্ষদর্শিরা আমাদের এই প্রতিবেদককে জানান। বসত ঘর পুড়ে তার প্রায় ৪লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিহয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ নাজমা খাতুন জানান।
এদিকে স্থানীয় মোমিন গাজী, ইলিয়াছ হোসেন, আমেনা খাতুন জানান বিগত ২০২০ সালে আহসান গাজী তার নিজ দুই ফুফু আবেদা খাতুন ও খালেদা খাতুনের নিকট হইতে ০৮ শতক জমি খরিদ করে ঘর বেধে বসবাস করে আসছে সেখানে। কিন্তু বিধি বাম উক্ত আট শতক জমি পাওয়ার উন্য তার চাচা আফরাফ গাজী বিজ্ঞ আদালতে টাকা আমানত করে জমি দখলের চেষ্টা করেন। বর্তমানে চাচার সাথে আদালতে আমানতের মামলা চলমান রয়েছেন বলে স্থানীয় জানান।
তবে আগুন লাগার বিষয়টি কেহ অনুমান করতে না পারলে পূর্ব শত্রæতার জেরে কেহ আগুন লাগতে পারে বলে ধারনা করছেন তারা। তাই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটি পুলিশ প্রশসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে দ্রæত আগুন লাগার বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার আহবান করেছেন। এঘটনায় পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে এলাকাবাসি জানান।