কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে১০৮ শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ (আংশিক) বিশটি ইউনিয়নে সাতক্ষীরা ৪ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ্ ৪২ হাজার ১৯৮ জন ভোটার এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪৩৪ এবং নারী ভোটার ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৬০ জন সাতক্ষীরা ৪ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে বিভিন্ন দল থেকে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন ৭জন প্রার্থী বর্তমান মাঠে আছে দুইজন হেভি ওয়েট প্রার্থী একজন সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বি এন এম দলের মনোনীত প্রার্থী জননেতা এইচ এম গোলাম রেজা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এস এম আতাউল হক দোলন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-৪ (১০৮-শ্যামনগর কালিগঞ্জ আংশিক) আসনে নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী প্রার্থী হয়েছেন মোট ৭ জন। এবার আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আতাউল হক দোলন। তিনি এর আগে ভোটে নৌকা প্রতীক নিয়ে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) দলের নোঙর প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ এইচ এম গোলাম রেজা।
তিনি বিগত ২০০৯ সালে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই দুই প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা ও জনসংযোগে বেশ জোরে সরে চাঙ্গা রয়েছে ভোটের মাঠে। খুব সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সভা, সমাবেশ, বিশাল জনসভা উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণ করে নিজের জন্য সকল ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এই আসনটি থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া অপর ৫ প্রার্থীর মধ্যে আরও ৪ জনের খোঁজ না থাকলেও বাংলাদেশ কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যান ডাব প্রতীকের প্রার্থী এ্যাড. শফিকুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে এই আসনে ঈদের শুভেচ্ছার মাধ্যমে এলাকায় পরিচিত পেতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
বর্তমানে তিনি বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ডাব প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে শেনা যাচ্ছে। এছাড়া কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও মথুরেশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। অন্য ৩ জন প্রার্থীরা হলেন, , তৃণমূল বিএনপির আসলাম আল মেহেদী সোনালী আঁশ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান কাচি প্রতীক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শেখ ইকরামুল আম প্রতীক নিয়ে মাঠে লড়ছেন।
তবে নৌকা ও নোঙর প্রতীকের দুই জন প্রার্থী ছাড়া সাতক্ষীরা ৪ আসনের অধিকাংশ অন্য ৫ জন প্রার্থীকে সাধারণ মানুষই চেনেন না। অচেনা ওইসব প্রার্থীকে নিয়ে ভোটাররা বলছেন, প্রচার না করে দলের কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের জন্য আর এমপি প্রার্থী হয়ে নামের সাথে আলাদা ফায়দা লাগাতেই তারা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। ভোট না পেলেও যাতে ভোটের পরে নিজেকে জাহির করতে পারে।
স্থানীয় আজগার আলী, মোদাচ্ছের রহমান আবু বক্কর মাওলানা আকরাম হোসাইন তকদির আলম সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ সহ আরো অনেকে জানান, সারাদিন নৌকা আর নোঙর প্রতীকের মাইক সহ বিভিন্ন ধরনের গান গজল জারি গান গেয়ে প্রচার-প্রসারণা জোরে সোরে চলে। দুই প্রার্থী সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের ধারে ধারে ভোট চাচ্ছেন। আর অন্য আরো কেউ প্রার্থী আছে আজ আপনাদের কাছ থেকে শুনলাম।
নারী ভোটার রুখসোনা খাতুন বলেন, নৌকা প্রতীকের লোকজন এসে ভোট চেয়ে গেলো, নোঙর প্রতীকের লোক ভোট চাচ্ছেন । আর কোন প্রার্থী আছে কিনা আমি জানি না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি জানান, নতুন কিছু রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি হলে সেই দল থেকে অনেকে নতুন প্রার্থী হয়েছেন। তারা স্বল্প সময়ে মাঠ গোছাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এ ছাড়া যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনোদিন অংশ নিয়ে জনপ্রতিনিধি হননি। তাই তাদের অধিকাংশ মানুষই চেনেন না। এ কারণেই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলেও ভোটারদের ভালোবাসা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। তবে এই ৫ জনের মধ্যে একজন ইউপি চেয়ারম্যান ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
স্থানীয়রা বলেন, বাংলাদেশে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এক্ষেত্রে কথিত কিংকস পার্টির বিভিন্ন দল থেকে অনেকে প্রার্থী হয়েছেন। ওইসব দলের ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে হবে তাই দিয়েছে। কিন্তু যাদের প্রার্থী করা হয়েছে তাদের কোনো পরিচিতি নেই, তাদের কেউ চেনে না বা তাদের সম্পর্কে কেউ জানে না। তারা অচেনা অজানা।