শনিবার , ৬ জানুয়ারি ২০২৪ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

সাতক্ষীরার উপকূলে সুপেয় পানি পাচ্ছে এক লাখ মানুষ

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
জানুয়ারি ৬, ২০২৪ ১০:৫৮ অপরাহ্ণ

এ এফ এম  মাসুদ হাসান, শ্যামনগর প্রতিনিধি : ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে সারা বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয় উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার মানুষকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা সুপেয় পানি সংকট। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় আইলা ও সিডরের পর থেকে এ অঞ্চলে মিঠাপানির আধারগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

সংকট নিরসনে সরকার ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে রেইন ওয়াটার হারভেস্ট প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হবে ২০২৪ সালের জুন নাগাদ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের এক লাখ মানুষ সুপেয় পানি পাবে বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বাস্তবায়িত প্রকল্পে উপক‚লীয় ছয়টি উপজেলায় তিন হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ১৭ হাজার ট্যাংক স্থাপন করা হবে।

যার একেকটি ট্যাংক স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০-৪২ হাজার টাকা। গত মে মাসে প্রকল্পের কার্যাদেশ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করেছে।

শ্যামনগর উপজেলার গাবুরার মরিয়াম বিবি, আমেনা বেগমসহ কয়েকজন জানান, বর্ষা মৌসুমে দূরের পুকুর ও জলাশায় থেকে মিঠাপানি সংগ্রহ করতে হয়। আর বছরের বাকি সময় পানি কিনে খেতে হয় তাদের। রেইন ওয়াটার হারভেস্ট প্রকল্পের অধীনে তারা প্রত্যেকে একটি করে তিন হাজার লিটার ট্যাংক পেয়েছেন।

আশাশুনি উপজেলা সদর ইউনিয়নের রোজিনা খাতুন ও আছিয়া বিবিসহ অনেকেই জানান, তাদের গ্রামে সুপেয় পানির সংকট তীব্র। টিউবওয়েলের পানিতে অতিমাত্রায় লবণাক্ত, যা কোনোভাবেই ব্যবহার করা যায় না। আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামের মনোয়ারা খাতুন ও বড়দল গ্রামের হালিমা খাতুনসহ অনেক জানান, তাদের বাড়ির উঠানে ওই ট্যাংক স্থাপন করে দিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ছাদ বা টিনের চালে স্থাপন করা ট্যাংক থেকে পাইপের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে ব্যবহার করছেন।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার মোট জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি ব্যবহার করতে পারে। আর পানি সংকটে রয়েছে ৩৭ শতাংশ মানুষ, যার পরিমাণ প্রায় আট লাখ। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিএম মাকসুদুল আলম বলেন, গাবুরা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে সুপেয় পানি।

চারদিকে নদনদী আর সুন্দরবনবেষ্টিত এ ইউনিয়নের অধিকাংশ মিঠা পানির আধারগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এখানে সুপেয় পানির সংকট তীব্র। রেইন ওয়াটার হারভেস্ট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে তাদের এ সংকট কিছুটা কাটবে।

সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, উপক‚লীয় মানুষের সুপেয় পানি সংকট নিরসন করতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে রেইন ওয়াটার হারভেস্ট প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রাথমিক অবস্থায় উপক‚লীয় জনপদের অন্তত এক লাখ মানুষের সুপেয় পানির চাহিদা মিটবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমে এসব সুফলভোগী বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে পারবে। বৃষ্টির পানি শতভাগ নিরাপদ। তাছাড়া অনেকদিন ট্যাংকে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করা যায়।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

শ্যামনগরে আস্থা প্রকল্পের যুব ফোরাম গঠন

সাতক্ষীরা-১ তালা কলারোয়া আসনে নৌকার বিপক্ষে আওয়ামী লীগের তিন হেভিওয়েট প্রার্থী

রমজান উপলক্ষ্যে নলতায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও কাপড় প্রদান

সংবাদ প্রকাশের পর রাতারাতি সাইনবোর্ড সরিয়ে পাশ্ববর্তী গম ক্ষেতে স্থাপন

সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলে সচেতনতামূলক কর্মসূচি

কালিগঞ্জে মাসব্যাপী বিজয় মেলার উদ্বোধন করলেন ডাঃ আ.ফ.ম. রুহুল হক এমপি

ফেইথ ইন এ্যাকশনের উদ্দ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

দেবহাটায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে সোনালী রঙের আমের মুকুল

ভোগান্তির আরেক নাম আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

মনিরামপুরে শোক দিবস পালন ও সিরিজ বোমা দিবসে প্রতিবাদ সভা