কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধপূর্ণ সম্পত্তিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার(৯নং) মথুরেশপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে। বিরোধপূর্ণ সম্পত্তি নিয়ে আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভ‚ক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, কালিগঞ্জের বসন্তপুর মৌজার জেএল নম্বর ৩৬, আরএস ১৫১২, ১৫১৩, ১৫১৪ ও ১৫১৫ নং দাগে ৭৬ শতক সম্পত্তি নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ ব্যাপারে ২০১৭ সালের প্রথম দিকে উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আব্দুস সামাদের ছেলে শামসুল আরেফিন, জালাল উদ্দিন ও তারেক আরেফিন বাদী হয়ে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে সাতক্ষীরা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে ৩২৫/২০১৭ নম্বর মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে রায় ঘোষণা করে আদালত। রায়ে উল্লেখ করা হয়, অত্র মোকদ্দমাটি সকল বিবাদীদের বিরুদ্ধে একতরফা সূত্রে বিনা খরচায় ডিগ্রি হইলো। বসন্তপুর মৌজার আরএস ৫১০ ও ৩১২ নং খতিয়ানের রেকর্ড ভ্রমর্তক ঘোষণা করা হইলো। উক্ত খতিয়ানদ্বয় হতে আরজির তফসিল বর্ণিত মতে ৭৬ শতক জমি বাদী পক্ষের নামের রেকর্ড প্রদান করিয়া খতিয়ান সংশোধনের জন্য জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা কে নির্দেশ দেওয়া হইলো।
এদিকে বিবাদী পক্ষ গং আদালতে উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং ১০৫৬৭/২৩ দায়ের করেন। আদালত নালিশি তফসিলভুক্ত সম্পত্তিতে কোনো রূপান্তরমূলক কাজ না করার জন্য উভয়পক্ষকে নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী শামসুল আরেফিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঐ সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আমরা আদালত থেকে রায় বা ডিগ্রি পেয়েছি। তারপরও প্রতিপক্ষরা হাইকোটে রিট পিটিশন করেছে। কিন্ত বিরোধপূর্ণ সম্পতিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বার বার আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষরা সেখানে পাঁকা ঘর নির্মাণ করছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার বিবাদী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোন ধরনের ঘর নির্মাণ করছি না। পূর্বের মালিকের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে এই সম্পত্তির মালিক আমি। বর্তমানে সেখানে দ্বিতল ভবন নির্মাণের কাজ করছি।