নিজস্ব প্রতিনিধি : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কলেজ-বিশ^বিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্রীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে মারুফ হোসেন বাপী নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়ার ঈদগাহ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। মারুফ হোসেন বাপী (২৮) শহরের মনজিতপুরের মৃত আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।
স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের এ্যাডমিন শেখ মাহবুবুল হক জানান, মারুফ হোসেন বাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে কলেজ-বিশ^বিদ্যালয় পড়–য়া মেয়েদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরে তাদের কাছ থেকে ভিডিও কলে বা হোয়াটসএ্যাপ-ম্যাসেঞ্জার-টেলিগ্রামে ন্যুড ছবি সংগ্রহ করতেন।
সুবিধামতো সময়ে তাদেরকে ছবি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। কখনো কখনো তাদেরকে শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য করতেন। স¤প্রতি দেশের স্বনামধন্য একটি বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী তার খপ্পরে পড়েন। সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই ছাত্রীর পিতা সাতক্ষীরা সদর থানায় প্রতিকার চেয়ে একটি জিডি করেন। তার ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অপরাধকারী বাপী ডা. আরমান হোসন নিলয় হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে মেয়েদের সাথে ঘনিষ্টতা গড়ে তুলতেন। অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ধারণ করে পরে তাদের সাথে প্রতারণা করতেন। কখনো অর্থ হাতিয়ে নিতেন আবার কখনো শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করতেন। স¤প্রতি থানায় করা একটি জিডির ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
একাধিক আইডি ও অন্যের নামের মোবাইল সিম ব্যবহার করে তিনি প্রতারণার সা¤্রাজ্য গড়ে তোলেন। তাকে ধরতে পুলিশ ফাঁদ পাতে। শুক্রবার রাতে প্রতারণার শিকার জনৈকা নারীর মাধ্যমে বাপীকে উত্তর কাটিয়ার ঈদগাহ ময়দানে ডেকে আনা হয়। পুলিশ সেখান থেকে বাপীকে আটক করে তার সেলফোন ঘেটে একাধিক নারীর সাথে তার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি পায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মোহিদুল ইসলাম জানান, আটক বাপীর বিরুদ্ধে ২০১২ সালে প্রণিত পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১), /৮(৫)(ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-১২। আটকের পর শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।