রবিবার , ২১ জানুয়ারি ২০২৪ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছে উপকূলের মানুষ

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
জানুয়ারি ২১, ২০২৪ ১১:১১ অপরাহ্ণ

জি এম আমিনুর রহমান, সুন্দরবনঅঞ্চল প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের চুনচুড়ি নদীতে কাকড়া শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন ষাটোর্ধ্ব বিধবা একাদশী। ছেলেদের সংসারে অভাব থাকায় নিজের ভরণপোষণ নিজেকেই করতে হয় তাকে। কিন্তু তাতেও নেই স্বস্তি। খুব বেশি চাহিদা না একাদশীর।

কোনো মতে নিজের জীবনটা চললে হয়, কিন্তু সবসময় কি চাহিদা মতো কাকড়া পাওয়া যায়? এই প্রশ্নকে সঙ্গী করেই জীবন চলে একাদশীর। কিন্তু এক যুগ আগেও তাকে এতো কষ্ট করে জীবনধারণ করতে হয় নি। তখন করতেন কৃষি কাজ। গরু-মহিষ সবই ছিল তাদের। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে এখন জীবন যেন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে উপক‚লে বসবাসরত হাজারো একাদশীর। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘন ঝড় জলোচ্ছ¡াসে ক্রমেই নিঃস্ব হয়ে পড়ছে উপক‚লের মানুষ।

হারাচ্ছে বসতভিটা। বাধ্য হচ্ছে পেশা পরিবর্তন করতে। এ যেন টিকে থাকার অনন্ত সংগ্রাম। একান্ত আলাপকালে বেশ আক্ষেপের সাথেই এই সংগ্রামের কথা বলছিলেন চুনকুড়ির একাদশী। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল আমরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতাম। বিলে অন্যের জমি হারি নিয়ে ধান চাষ করতাম, গরু মহিষ ছিল। লোকের জমি চাষ করে দিলেও টাকা পয়সা পেতাম। কিন্তু গেল কয়েক বছরে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় লোনা পানিতে আর ধান চাষ করা সম্ভব হয় না। এখন সব লোনা পানির ঘের।

কোনো কাজ নেই। তাই বাধ্য হয়ে নদীর পাশ দিয়ে কাঁকড়া ধরে বেড়ায়। একাদশী আরও বলেন, কাকড়া ধরে নিজে দুই বেলা দুই মুঠো ভাত খেতে পারলেও সবসময় লোনা পানিতে থাকার কারণে ইতোমধ্যেই শরীরের বেশ কিছু স্থানে ঘাঁ হতে শুরু করছে। বড় কোনো রোগে আক্রান্ত হলে ভালো চিকিৎসা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

একাদশী বলেন, স্বামী মারা গেছে অনেক আগেই। ২ ছেলে ৪ মেয়েকে বড় করেছি। ছেলেদের অবস্থাও ভালো না। তাদের নিজেদের সংসারেই অভাব। আমাকে খেতে দেয় না।

তাই এই কাকড়া ধরে নিজের রোজগারেই বেঁচে আছি। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে কিছু না বলতে পারলেও একাদশী বলেন, এখন ঝড়-প্লাবন বেড়েছে। এলাকায় লবণাক্ততা বেড়েছে। ধান হয় না। কোনো কাজ নেই। মানুষ কাজের সন্ধানে এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। খাবার পানি নেই।

তিনি প্রশ্ন করে বলেন, মানুষ বাঁচবে কী করে? শ্যামনগর উপক‚লে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) এর কর্মকর্তা বাবলু জোয়ারদার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপক‚লীয় এলাকা ক্রমান্বয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। স্থানীয় অভিযোজন কৌশল স¤প্রসারণসহ লোনা পানির অপরিকল্পিত চিংড়ি ঘের রোধ করতে না পারলে সংকট আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

মহাঅষ্টমীতে এমপি রবির পক্ষ থেকে দলীয় নেতৃবৃন্দের পূজা মন্ডপ পরিদর্শণ

আশাশুনিতে সিএইচসিপিদের সমন্বয় সভা

প্রবীণরা হলো সমাজের মুকুট-সিটি মেয়র খালেক

এমপি সেঁজুতির সাথে সাতক্ষীরা পৌর পরিষদের মতবিনিময়

বিএনপি’র নবগঠিত আহবায়ক কমিটিকে সাতক্ষীরা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের শুভেচ্ছা

পাইকগাছায় জেল হত্যা দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

এমপি রবি ফুটবল টুর্নামেন্টে সদর উপজেলাকে ২-১ গোলে হারিয়ে ধুলিহর ইউনিয়নের জয়লাভ

ব্রহ্মরাজপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন করতে আহবায়ক কমিটির সভা

উৎসর্গ সোসাইটির উদ্যোগে শ্যামনগরে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

মনিরামপুরে মুখ দিয়ে লিখে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে হাত-পা বিহীন জন্ম নেওয়া লিতুন জিরা