তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চালের একটি প্রাণি পালনের অন্যতম অঞ্চল। এ অঞ্চলের অধিকাংশ খামারীরা গাভী পালন করেই অভ্যস্ত। তবে উচ্চ পুজির কারণে এ ব্যবসায় অধিকাংশ খামারী আসতে পারছে না। তবে গাভীর খামারের বিকল্প হিসেবে স্বল্প মেয়াদে খাসি মোটাতাজাকরণ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন( পিকেএসএফ) এর আর্থিক সহায়তায় বেসরকারী সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টা খাসি মোটাতাজাকরণে ব্যাপক ভুমিকা রাখছে।উন্নয়ন প্রচেষ্টার উদ্যোগে এলাকায় খামারীদের নিবিড় পদ্ধতিতে খাসি মোটাতাজাকরণের প্রশিক্ষণ, খামারের টিকা সহায়তা,খাবার সহায়তা,সার্বক্ষণিক একজন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পর্যবেক্ষণ ছাড়াও ঋণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
অত্র এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায় তালায় একশত এর অধিক খামারে খাসি মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি খামারে প্রায় গড়ে ৪-৫ টি খাসি মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। বাসস্থান নির্মাণ খরচ কম, খাবারের চাহিদা কম,রোগ ব্যধির প্রার্দুভাব কম,দ্রæত বর্ধনশীল, সর্বোপরি অল্প পুজিতে কম সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় খামারীরা আগ্রহী হচ্ছেন। সাতক্ষীরা অঞ্চলে খাসির চুই ঝালের মাংস অধিক জনপ্রিয় হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে উক্ত এলাকায় নিরাপদ খাসি বিক্রয়কেন্দ্র, ফিড খাবারের দোকানও গড়ে উঠছে।ফলে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া এর মাধ্যমে নারী কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
অত্র এলাকার খামারী মো মতিউর রহমান জানান,উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শে এবং উন্নয়ন প্রচেষ্টা হতে প্রশিক্ষণ ও অনুদান নিয়ে পাচটি খাসি দিয়ে এ ব্যবসা শুরু করেন। তিনি পাচটি খাসি থেকে মাত্র তিন মাসে পয়ত্রিশ হাজার টাকা লাভ করেন। বর্তমানে তার খামারে ১৫ টি খাসি মোটাতাজাকরণের জন্য রয়েছে।
এ ব্যাপারে উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, তালায় খাসি মোটাতাজাকরণ ব্যবসায় খামারীরা দিন দিন আগ্রহী হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্রামে ক্লাস্টার গড়ে উঠেছে। এ ব্যবসাকে স¤প্রসারণ করার লক্ষ্যে সকল ধরনের সহায়তা দিতে উন্নয়ন প্রচেষ্টা আগামী দিনগুলোতেও বদ্ধ পরিকর।