সোমবার , ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

যান্ত্রিকতার যুগে বিলুপ্তপ্রায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঙ্গল-গরুর হাল চাষ

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
জানুয়ারি ২৯, ২০২৪ ১১:০০ অপরাহ্ণ

জি এম ফিরোজ উদ্দিন, মণিরামপুর প্রতিনিধি : গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বাপ-দাদার সেই পুরনো স্মৃতি লাঙ্গল-গরুর হালচাষ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। চাষি খেতে চালাচ্ছে হাল , তাঁতি বুনছে তাঁত, জেলে ধরছে মাছ জালে।গ্রামবাংলার কর্মময় এ সত্য সৌন্দর্য এখন যেন অনেকটাই স্মৃতিময়।

কিন্তু, একটা সময় ছিল লাঙ্গল-গরুর হালচাষ ব্যতীত জমি প্রস্তুতের কথা চিন্তাই করা যেত না। আদিকাল থেকেই কৃষি কাজে ব্যবহার হতো এই হালের লাঙ্গল ও মই। বিশেষ করে, নদী মাতৃক বঙ্গ অঞ্চলে সুদীর্ঘকাল ধরে চাষাবাদের মূল হাতিয়ার হিসেবে এগুলোই ব্যবহৃত হতো। বাঙালি গৃহবধূরা শাড়ি পরে কোমরে খাবারের গামলা আর হাতে পানির ঘটি নিয়ে সকাল হলেই মাঠের আঁকা-বাঁকা মেঠোপথ ধরে খাবার নিয়ে যেতো হাল চাষির কাছে।

সেখানেই অনেকে ভাগাভাগি করে সে খাবার তারা খেতো লাঙ্গল জোঙ্গাল নিয়ে কৃষকরা কাক ডাকা ভোর থেকেই মাঠের প্রান্তরে হালচাষ করতো। কেউবা জমিতে বীজ রোপন করতো। কেউ বা প্রস্তুত করতো জমি। এ চাষের ক্ষেত্রে গরুর হাল,মই, একজন মানুষ ও সাথে একজোড়া গরু/মহিষ থাকত। কালের বিবর্তণে যান্ত্রিক চাষাবাদ পদ্ধতির সহজলভ্যতায় মানুষের হাল চাষের সেই আগ্রহে এখন অনেকটাই ভাটা পড়েছে। কিন্তু শীতকালীন সবজি চাষাবাদ, নিচু জমি কিংবা মৌসুমি চাষাবাদে অনেক ক্ষেত্রে চাষ যন্ত্রের সাময়িক ঘার্তীতে কিছু কিছু এলাকায় এখনও লাঙ্গল-জোয়ালই মূল হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।

কারণ, সবজি খেতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করলে মই দিয়ে সমান করা যায় না। আবার জমিতে সারিবদ্ধভাবে চারা লাগাতে লাঙ্গলের ব্যবহার করতে হয়। অন্যদিকে, নিচু জমিতে ভারী ওজনের ট্রাক্টর কাদায় দেবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তারপরও, কালের আবর্তে আধুনিকতার যুগে যান্ত্রিকতানির্ভর যন্ত্র দিয়ে জমি চাষের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে দিন-কে-দিন গ্রাম বাংলার এ ঐতিহ্য অনেকটা হারিয়ে যেতেই বাধ্য হচ্ছে।এমনকি, বর্তমানে গ্রামীণ সমাজের অনেক চাষিই গরু পালন ছেড়ে দিয়েছে।

আবার অনেকেই বাপ-দাদার সেই পুরনো স্মৃতি আঁকড়ে ধরে থাকতে চেষ্টা করছে। কিন্তু হাল চাষের জন্য তাদের এখন খুব একটা কেউ ডাকে না বল্লেই চলে।সরজমিনে এক চাষির সঙ্গে কথা বল্লে চাষি মো আব্দুল মাজিদ গাজি বলেন “পূর্বপুরুষের পেশা ছাড়িনি। হাল চাষের জন্য এক জোড়া বলদ গরু, লাঙল-জোয়াল, মই, ছড়ি, গরুর মুখের টোনা লাগে। গরুর লাঙ্গল দিয়ে মাটির গভীরে গিয়ে মাটি তুলে উল্টিয়ে রাখে।

ওপরের মাটি নিচে পড়ে আর নিচের মাটি ওপরে। এতে জমিতে ঘাস কম হয়, আর হাল চাষের সময় গরুর গোবর সেই জমিতেই পড়ে এতে একদিকে যেমন জমিতে জৈব সারের চাহিদা পূরণ হয়, তেমনি ফসলও ভালো হয়।”

তবে ট্রাক্টর বা পাওয়ারটিলারের প্রচলন হওয়ায় গরু দিয়ে হাল চাষের কদর কমে গেছে। কম সময়ে বেশি জমিতে চাষে সক্ষম হওয়ায় জমির মালিকরা ট্রাক্টর বা পাওয়ারটিলার দিয়ে জমি চাষ করছে। যে কৃষকরা গরু দিয়ে চায় চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত কালক্রমে তারা পেশা বদল করে অন্য পেশায় চলে গেছেন।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

বিডিএমএ’র সাথে আশাশুনির নবাগত ইউএইচএ’র মতবিনিময়

মো. মফজুলার রহমান খোকন’র মৃত্যুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির গভীর শোক

সাতক্ষীরায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে ইসলামী ছাত্র শিবিরের অফিস উদ্বোধন

সামাজিক রক্তদান সেবায় আমরা সংগঠনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন

কালিগঞ্জে ৫২টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি সম্পন্ন

সাতক্ষীরা জেলা কমিটি বাতিলের দাবি ও ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপির আলোচনা ও র‌্যালি

সাংবাদিক টুটুলের দাফন সম্পন্ন

আশাশুনিতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবলায় সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ