মঙ্গলবার , ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ | ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

আশাশুনিতে দুই শত বছরের বটবৃক্ষে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
জানুয়ারি ৩০, ২০২৪ ১১:৫২ অপরাহ্ণ

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে দুই শত বছরের অধিক বটবৃক্ষে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকালে সদর ইউনিয়নের ধান্যহাটি,আশাশুনি পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নীলকন্ঠ সোমের বাড়ীর পিছনে জেলা পরিষদের পুকুর ধারে ।

স্থানীয় প্রাক্তন শিক্ষক শ্যামল সোম, গৌতম কুমার সোম, মুকুল সোম সহ অনেকেই জানান দীর্ঘ ২ শত বছরের বটবৃক্ষের নিচে আমরা পুর্ব পুরুষগণ থেকে এই স্থানে চড়ক পুড়া, ষষ্ঠীপুজা, বানভোজন সহ বিভিন্ন ধর্মীয় ক্রিয়া কর্ম করে থাকি। কিন্তু গতকাল বিকালে ৫টার পরে আমরা দেখি দাউ দাউ করে পুজার স্থানটিতে ও জীবিত বটগাছটি দাউ দাউ করে জলছে।

আমরা প্রাথমিক ভাবে নিভানোর চেস্টা করি কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ফার্য়ার সার্ভিসকে খবরদিলে ফার্য়ার সার্ভিসের লোকজন এসে দ্রæত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষেণে দীর্ঘ বয়সী বটগাছটি অধেক পুড়ে যায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান গাছের নিচে উত্তর পাশে কিছু আবজনা স্থুপ ছিলো সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছে বলে তাদেও ধারনা । পরে সেটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে বলে স্থানীয়রা জানান।

এঘটনায় পরদিন মঙ্গলবার সকালে ৬টার দিকে আবারও উক্ত স্থানে আগুন লেলিহান শিখা ও গাছটি পুড়তে দেখে পুনরায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা আবারও দ্রæত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের শিখা দেখে ফার্য়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ঐসময় স্থানীয়দের জানান তেল জাতীয় কিছু দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ধারনা তাদের। তবে স্থানীয়রা এঘটনায় হতবাক ও মর্মাহত দীর্ঘদীনের পুজা অর্চনার স্থান ও বটগাছটি পুড়িয়ে দেওয়ায়।

স্থানীয় সঞ্জয় সোম বলেন সুষ্ঠু তদন্ত হলে অবশ্যই উক্ত ঘটনাটির উদঘাটন হবে বলে তিনি দাবী করেন। শিক্ষক শ্যামল কুমার জানান জেলা পরিষদেও পুকুরটি তাদের পুর্ব পুরুষদের দানকৃত সম্পত্তি। কয়েক বছর পুকুরটি ইজারা বন্ধ থাকলেও একটি পক্ষ উক্ত পুকুরটি দখলের চেষ্টা করছে বলে স্থানীয় অনেকেই জানান। পুজার স্থানটিতে অগুন দেওয়ার ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানায়। তাই তারা দ্রæত পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত