শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের চুনকুড়ি গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী ফকিরের ছেলে আমির হামজা মন্টু কর্তৃক একই গ্রামে তার আপন ফুফাতো ভাই কাদের মোল্লার ডি,সি,আর সম্পত্তি হারি না দিয়ে গায়ের জোরে জবরদখলের চেষ্টা ।
স্বরজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় চুনকুড়ি গ্রামের জব্বার মোল্লার পুত্র কাদের মোল্লা ১৯৮৬ সালে হরিনগর মৌজার ১/৮১১খাস খতিয়ানের ৩০৮৩ দাগে ২.৬১ এ কার জমি বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ইজারা প্রদান করে যাহার কেস নং ১৫৭/৮৬।
ডি,সি, আর নেওয়া সম্পত্তিতে এক বছর কাদের মোল্লা ধান চাষ করার পর তারই বড় মামা মৃত ইয়াকুব আলী ফকির ১৯৮৭ সালে মৎস্য ঘের করার জন্য হারিতে নেয় এবং সে শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্য ঘের পরিচালনা করে আসছিল কিন্তু ইয়াকুব আলী মারা যাওয়ার পর তার ওই বড় ছেলে আমির হামজা মন্টু মৎস্য ঘেরটি পরিচালনার দায়িত্ব নেয় এবং সেই থেকে সে ২০১৯ সাল পর্যন্ত হারির টাকা দিলেও বিগত ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালে হারি না দিয়ে বিভিন্নভাবে ভাইভীতি দেখিয়ে জবরদখল করে ঘের করে আসছে।
ডি,সি আর করাইকৃত সম্পত্তির হারির টাকা না পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক সরকারি কমিশনার (ভ‚মি) শ্যামনগর কে সর জমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করত পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। সে মতে সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) মহাদয়, ইউনিয়ন ভ‚মি কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন যাহার নং ২৪১/২৩ সে মতে কাদের মোল্লাকে সরকারি লাল পতাকার মাধ্যমে চিহ্নিত দখল প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে কাদের মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন সরকারি কমিশনার (ভ‚মি)শ্যামনগরের মাধ্যমে আমার সম্পত্তি আমি দখল করেছি। এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন ভ‚মিক কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারি সম্পত্তির ডি,সি,আর নিয়েছে কাদের মোল্লা কাগজপত্র অনুসারে স্বর জমিনে কাদের মোল্লাকে দখল বুঝিয়ে দিয়েছে।