নিজস্ব প্রতিনিধি : বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নানা আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী সাতক্ষীরার শ্রেষ্ঠ নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে নবীন বরণ ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ফেব্রæয়ারি) নবারুণ স্কুলের শিক্ষার্থীদেও গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে দিন ব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান।
নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজীর সভাপতিত্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, সদও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল হোসেন, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি আমিনা বিলকিস ময়না।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. সেলিমুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক নাজমুল লায়লা, সহকারী শিক্ষক সাবিনা সারমিন, মো.আকতারুজ্জামান, মো.তৈবুররহমান, এম, এমনওরোজ মো.ফারুক হোসেন, শাহীনা পারভীন, শামীম পারভেজ, রাবেয়া খাতুন, মো. সিরাজুল ইসলাম, নাজমা সুলতানা, রোজীনা বুলি, দেবব্রত কুমার মন্ডল, লিপিকা রানী মন্ডল, সাদিয়া আফরিন, আমেনা খাতুন।
পিঠা উৎসব ঘুওে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের আঙিনায় স্টল গুলো সাজানো হয়েছে প্রায় ১০০ রকমের পিঠা দিয়ে। এসব পিঠার মধ্যে নকশি, চিতই, রসপিঠা, ডিমচিতই, দোলপিঠা, ভাপাপিঠা, পাটিসাপটা, পাকান, আন্দশা, কাটাপিঠা, ছিটপিঠা, মালাইপিঠা, পুলিপিঠা, পাতাপিঠা, তেলেরপিঠা, চাঁদ পাকানপিঠা, ঝুরিপিঠা, ছাঁচপিঠা উল্লেখযোগ্য। পিঠা উৎসব উপলক্ষে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের আগমনে স্কুল প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়।
শিক্ষার্থীদেও আবৃতি, গান, নৃত্য পিঠা উৎসবে আসা অথিতিদের মুগ্ধ করে। নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজী বলেন, পিঠা-পুলি আমাদের লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই প্রকাশ। শহর কেন্দ্রীয় জীবন জীবিকার কারণে এই দেশজ উৎসব কমে গেছে। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাঙালির নানা রকমের পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতেপারে।