সুব্রত কুমার গোলদার, (খাজরা) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বোরো আবাদ চাষ। পতিত জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের চাষ হচ্ছে। কিন্তু এ বোরো আবাদ বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায় মিঠা পানি উৎস্য। মিঠা পানি পর্যাপ্ত উৎস্য না থাকায় প্রান্তিক কৃষকদের জমি থাকা সত্তে¡ও চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়াও খাজরায় এবার শতাধিক সরিষা,৫জন করে সূর্যমুখী ও খেসারী চাষি এ সমস্ত ফসল চাষাবাদ করছেন। বৃহস্পতিবার(৮ জানুয়ারী) সকালে ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম সবুজ ও মোস্তফা গাজীর বোরো ধানের ক্ষেত সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, দুই মাস আগে বোরো ধানের চারা রোপন করা হয়েছিল। সবুজ পাতার ধানের গাছগুলো বাতাসে দুলছে।
মোস্তফা গাজী নিজ ক্ষেতে ঘাসসহ আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত আছে। পাশেই হারুন গাজীর ক্ষেতে পোকা দমনের জন্য গাছের ডালপুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমন দৃশ্য এখন খাজরা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারি কৃষি প্রনোদনার অংশ হিসিবে সরকারি বীজ এসব বোরো ধানের ভাল ফসল লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এবার খাজরা ইউনিয়নে ৩শ ৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পিরোজপুর, খালিয়া, ফটিকখালী, গদাইপুরসহ কয়েকটি গ্রামে কম বেশি বোরো আবাদ করা হয়ে থাকে।
ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম জানান, আমার দুই বিঘা জমি এই সময় অনাবাদি পড়ে থাকত। আমি নিজেই দুই বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করছি। ভাল ফলন হবে আশা করি।
তিনি আরও জানান,আমার ওয়ার্ডের প্রায় দশজন প্রান্তিক চাষিকে কৃষি অফিসের মাধ্যমে সরকারি বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। প্রান্তিক কৃষক মোস্তফা গাজী বলেন,আমি দেড় বিঘা জমিতে বোরো ধানে আবাদ করছি। বিঘা প্রতি আমার ৮-৯ হাজার টাকা খরচ হবে। যদি পোকার আক্রমন বেশি না হয় তাহলে ফসল ভাল হবে।
কৃষক হাকিম ঢালী বলেন, আমাদের এই এলাকায় মিঠা পানির অভাব। সরকারি বেসরকারিভাবে যদি আমাদের পানির ব্যবস্থা করা হয় তাহলে আমরা এই ধান লাগানোর আগ্রহ বাড়বে।
আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিসের খাজরা বøকের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের বোরো চাষের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। এ মৌসুমে খাজরা ইউনিয়নে সরকারি প্রনোদনার অংশ হিসেবে হাইব্রিড ধান ২শজন, উফসি ধান ২শজন, সরিষা ১শ৫০জন, সূর্যমূখী ৫জন ও খেসারী ৫জন প্রান্তিক কৃষকদের ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় সম্পূর্ন বিনামূল্যে প্রদান করেছি।
এছাড়াও কৃষকদের সব সময়ে পরামর্শ প্রদান করে আসছি। এলাকাবাসীর দির্ঘ্য দিনের দাবি এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমান সরকারি খাল থাকলেও তারা মিঠা পানির উৎস্য তৈরী করতে পারছেন। যে কারনে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।