ই. এইচ. সুজন, কুল্যা প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার ব্যস্ততম কুল্যার মোড় টু বাঁকা সড়কটির সংস্কার কাজ ব্যাপক ধীরগতির কারণে চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কে চলাচলরত পথচারীদের। একই সাথে কুল্যা হাবিলের মোড় থেকে কুল্যা পশ্চিম পাড়া গামী সড়কটি অনুরুপ ভাবে পড়ে থাকায় জনভোগান্তি চরমে উঠেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গিয়েছে কুল্যার মোড় থেকে বাঁকা সড়কের প্রথমাংশে গুনাকরকাটি ব্রীজ পর্যন্ত সড়কটিতে ইটের খোয়া দিয়ে রোলিং করে দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে ফেলে রাখা হয়েছে। বর্ষা মৌসুম সহ বিভিন্ন সময়ে সড়কে চলাচলরত পথচারীদের পড়তে হয় বিপাকে।
স্থানীয়রা জানান এ সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ, বাঁকা-দরগাহপুর, বড়দল, খাজরা, প্রতাপনগর, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার উদ্দেশ্যে সাধারণ মানুষ গমন করে থাকেন। সড়কটির প্রথমাংশে সংস্কারের অভাবে ইটের খোয়া উঠে সড়কের মধ্যে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।
একটু বৃষ্টি বা সড়কে পানি জমলেই গর্তে জমে থাকা ময়লা পানি যানবাহনের চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে ছিচকে পথচারীদের পোশাক নোংড়া করে দেয় বলে অভিযোগ করেন পথচারীরা। সড়কটিতে পিচের কার্পেটিং না হওয়ায় সড়কে ছোট-বড় গর্তের কারণে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তি বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
কুল্যার গুনাকরকাটি খানকা শরীফের বার্ষিক ওরশ ও ফাতেহা শরীফের আগে সড়কটি সংস্কারের দাবী জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল। তা না হলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ভক্ত ও মোছাফিরগনের যাতাযাতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হবে বলে মনে করছেন বার্ষিক ওরশ ও ফাতেহা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এদিকে কুল্যার হাবিলের মোড় থেকে কুল্যা পশ্চিমপাড়া গামী সড়কটি অনুরুপ ভাবে পিচের কার্পেটিং না হওয়ায় উক্ত সড়কে চলাচলরত সাধারণ মানুষের ভোগান্তির অন্ত নেই বলে জানান গ্রামবাসী।
এব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা সহকারী এলজিইডি প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, কুল্যার মোড় টু বাঁকা গামী সড়কটি পিচের কার্পেটিং এর জন্য নতুন করে টেন্ডার হচ্ছে এবং কুল্যা পশ্চিম পাড়া গামী সড়কটির কাজ শেষ করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ কাজ শেষ করা যাচ্ছে তা তিনি সঠিক বলতে পারেননি। এমতাবস্থায় ব্যস্ততম এ সড়কটি অতিদ্রæত সংস্কার পূর্বক সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সড়কে চলাচলরত পথাচার, যাহবাহন চালক ও স্থানীয় সচেতন মহল।