সুব্রত কুমার গোলদার (খাজরা) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন বেসরকারি গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা গ্রাউস এর খাজরা শাখার ম্যানেজার দেবব্রত কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ২০লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ তুলেছেন একই অফিসে কর্মরত মাঠ কর্মীরা। কর্মীরা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ঘোষণা করে টাকা ফেরত চেয়ে খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে একটি অভিযোগ করেছেন।
এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে ম্যানেজার বিভিন্ন অজুহাতে অফিস এলাকা থেকে গাঢাকা দিয়েছে বলে জানা যায়। খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা(গ্রাউস) এর পরিচালক প্রান নাথ দাশ ১৭/১২/২০২৩ তারিখে সমিতির গ্রাহকদের সঞ্চয় রাখা টাকা আত্মসাৎ করে দেশ ছেড়ে পলায়ন করেন। ঘটনাটি উক্ত শাখার ম্যানেজার জানা সত্তে¡ও আমাদের কর্মীদের কিছুই জানানো হয়নি।
কর্মীরা বিভিন্ন গ্রাম থেকে ঋণের টাকা ও সঞ্চয়ের টাকা আদায় করে ম্যানেজারের কাছে জমা দেন। সমিতির পরিচালক না থাকায় নিজ ক্ষমতা বলে দুই মাস অফিস পরিচালনা করে নিরীহ কর্মীদের দ্বারা মাঠ থেকে সঞ্চয় ও ঋণ আদায় করে ১৮ থেকে ২০ লক্ষাধীক টাকা আত্মসাৎ করেছে ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার। গত ০৫/০২/২০২৪ ইং তারিখে ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার অফিস শেষ করে বাসায় গিয়ে আর অফিসে আসছে না। কর্মীরা এখন গ্রাহকদের চাপের মুখে আছি। ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার কে বার বার ফোন করার পরও আমাদের ফোন রিসিভ করে আজ আসব কাল আসব এমন করে কাল ক্ষেপন করছে।
আমরা গ্রাহকদের কাছে মান অপমান হচ্ছি। মাঠ কর্মী মিতালী চক্রবর্তী জানান, আমার স্বামী জমি বিক্রি করে আড়াই লক্ষ টাকা পায় । সে কথা ম্যানেজার দেবব্রত জানতে পেয়ে আমার চাকরী দেওয়ার কথা বলে সমিতিতে জমা রাখতে বলে। এছাড়া গ্রাহকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে ম্যানেজারের কাছে জমা দিয়েছি। এখন আমাদের কি হবে। আমাদের এলাকায় থাকা অনেক কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
শুধু মিতালী নয়, মিতালীর মত মাঠ কর্মী পূর্নিমা, শিখা রানী, নাছিমা, শংকর, দিপঙ্কার মন্ডল, ওহিদুল ইসলাম ও মাঠ কর্মী সামছুর রহমানও অভিযোগ করে বলেন, গ্রাউসের পরিচালক প্রান নাথ দাশ সমিতির টাকা আত্মসাৎ করে দেশ ছেড়ে পলায়ন করার পরেও ম্যানেজার দেবব্রত কুমার মন্ডলের কথা মত বিভিন্ন গ্রাম থেকে ঋণের টাকা ও সঞ্চয়ের টাকা আদায় করে জমা দেওয়া হয়েছে। গত ৫ ফেব্রæয়ারী থেকে ম্যানেজার অফিসে আসেনা। আমরা গ্রাহকদের কাছে মান অপমান হচ্ছি। আমরা কর্মীরা এই ম্যানেজারের কাছ থেকে অর্থ ফিরিয়ে নেওয়ার জোর দাবি জানাই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ম্যানেজার দেবব্রত কুমার মন্ডল জানান, তার বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ২০লক্ষ টাকা আত্বসাৎ এর অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। গত ৫ ফেব্রæয়ারী বাজার কমিটির সামনে কর্মীদের সকল টাকার হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দিয়েছি। খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম জানান, গ্রাউস নামে এক সমিতির টাকা আত্মসাৎ প্রসঙ্গে একটি অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে ডেকে সাধারণ গ্রাহকের টাকা কিভাবে ফেরত পেতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।