সকাল রিপোর্ট : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: নজরুল ইসলাম একই দিনে একই সময়ে সাতক্ষীরা ও খুলনাতে অবস্থান করেছেন বলে সরকারি নথি অনুযায়ী জানা গেছে। এ যেন এক অদ্ভূত ভ‚তুড়ে গল্পকেও হার মানায়।
অশরীরি আত্মা যেকোন স্থানে অবস্থান করতে পারে বলে অনেকে ধারণা করলেও বর্তমানে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: নজরুল ইসলাম সে ধারণাকেও হার মানিয়েছে। জানা গেছে গত ২৪ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সদর, সাতক্ষীরা কার্যালয়ের “উশিঅ/সদর/সাত/৭৩২(৩৭) তারিখ: ২০-১১-২০২৩ খ্রি:” সংখ্যক স্মারকে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার সাতক্ষীরাতে ‘শিক্ষাক্রম বিস্তরণ’ বিষয়ক প্রশিক্ষণের ২২-২৪ নভেম্বর ২০২৩ প্রশিক্ষক হিসেবে এবং খুলনা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের ৩৮.০১.৪০০০.০০০.২৫.০০১.২০-১৪২৬, তারিখ: ২২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রি: সংখ্যক স্মারকে মনোনয়ন পেয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমী, খুলনাতে ‘এপিএসসি সংক্রান্ত মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এক দিনের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ বিষয়ক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে দু’টি ভেন্যু হতে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত অর্থ গ্রহণ করেছে নজরুল ইসলাম।
দুটি প্রশিক্ষণ হতে ভাতা গ্রহণ সরকারি বিধির মারাত্মক লঙ্ঘন। এমনটি হওয়ার পিছনে কারণ খুজতে যেয়ে দেখা গেছে যে, নজরুল ইসলামের মিথ্যা আশ্বাসে ও চাটুকারিতায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহা: আব্দুল গণি মুগ্ধ হয়ে তার অন্যান্য সহকর্মীদের বঞ্চিত করে এভাবে তাকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
কারণ নজরুল ইসলাম গল্প দিয়ে বেড়ান যে, তার আত্মীয়-স্বজন-বন্ধু বড় পদে আসীন ও রাজনীতিবিদ কিন্তু এসবই তার গালগল্প বলে জানা গেছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল গনি তার কথায় বিশ্বাস করে ঠকেছেন এমনটি ধারনা অনেকের।
কারণ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল গনির অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত ১৫ ফেব্রæয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে তার মুখ ও মনোবল দেখে বাদীর উপস্থাপিত তথ্য প্রমাণাদি ও সাক্ষীদের থেকে জানা যায় যে, আবদুল গনি সন্দেহাতীতভাবে দোষী।
আর এসব অপকর্ম করতে উৎসাহ প্রদান করে নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিল যে, তদন্ত কোন দিন হবে না। এখন বলছে, রিপোর্ট দিতে নিষেধ করে দেব। স্যার, চিন্তা করেন না।
এছাড়াও নজরুল ইসলামের অনুশীলন খাতা বিক্রি করে কমিশন আদায়, স্কুলের গাছ বিক্রি করে অর্থ ভাগাভাগী করার পাশাপাশি নানা রকম দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এমন দুর্নীতিবাজ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে তদন্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিক্ষা অফিস থেকে সদরের শিক্ষকবৃন্দ অপসারণ জোর দাবি জানিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট।