মঙ্গলবার , ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

সাতক্ষীরা জজকোর্টে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট সাধারণ মানুষের হয়রানির কেন্দ্রবিন্দু

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪ ১২:৫০ পূর্বাহ্ণ

এমডি রায়হান সিদ্দিকী : সাতক্ষীরা জজকোর্ট একদিকে চলে বিচার কার্য আরেকদিকে চলে গ্রাম থেকে আসা সাধারণ মানুষকে নিয়ে নানা রকম হয়রানি। রাস্তাজুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাটের কারণে মানুষের চলাচল করতে অসুবিধা হয়। জজকোর্টের ভিতর গড়ে ওঠেছে অর্ধশতাধিক চায়ের দোকান, হারবাল সেন্টার, জোত্যিষী সহ বিভিন্ন দোকানপাট। পা ফেলানোর জায়গা নাই কোর্টের ভিতর। অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা এসব দোকন পাট কে বা কারা নিয়ন্ত্রণ করে জানতে চাইলে কেউমুখ খুলে চায় নি।

অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাটে জিনিসপত্র দাম বাইরে থেকে দ্বিগুণ। জেলায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মামলার কারণে কোর্টে হাজিরা দিতে আসলে বাধ্যতামূলক ভাবে খেতে হবে এই সুযোগ নিয়ে দামবৃদ্ধি তাদের একটা কৌশল। জজকোর্টের ডিসি পার্কের সামনে জনৈক ডাব বিক্রেতা কোর্টের বাইরে ৫০ টাকা ডাব বিক্রি হলেও তিনি ৮০-১০০ টাকা বিক্রি করছেন। সাধারণ মানুষ গ্রাম থেকে এসে নিরুপায় হয়ে বাড়তি টাকা দিয়ে তৃষ্ণা মিটাতে ডাব ক্রয় করে খেতে হচ্ছে।

দ্বিগুণ দামে ডাব বিক্রেতাকে সাংবাদিক জানতে চাওয়া হলে, কোর্টের ভিতর তাদের দোকান দেওয়ার বৈধতা জজ কোর্ট কর্তৃপক্ষ দিছে কি না “তিনি বলেন কোর্টের সাহেবরা আমাকে চেনে তারা জানে এখানে আমি ডাব বিক্রি করি। কোন সাংবাদিক নিউজ করে আমার কিছু করতে পারবে না। আপনি নিউজ করেন যান দেখি কি করতে পারেন। আরেকজন সাইকেল গ্যারেজের নিচে বসা জনৈক হরেক রকম পাথর বিক্রি করেন মানুষের ভাগ্য, তিনি পাথর দিয়ে পরিবর্তন করে দেন।

তিনি গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল মানুষ দেখে ডাক দিয়ে হাত দেখে সামনে ব্যাপক সমস্যা রাহু গ্রাস করেছে এগুলো ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার পাথর ধরিয়ে দেন। পাথর নিলে তার সকল সমস্যা সমাধান হওয়ার আশ্বাস দেন। গাছের নিচে বসা আরেকজন জনৈক হারবাল বিক্রেতা, মোটা মানুষ কে চিকন, চিকনকে মোটা বানানো তার কাজ। দাম্পত্য জীবনে কলহ শারিরীক দুর্বলতা সহ সকল রোগের কার্যকারী ওষধ দেন তিনি।

সহজ সরল মানুষ দের বুঝিয়ে শুনিয়ে চড়া দামে এসব হারবাল ওষুধ ধরিয়ে দেন। ভুক্তভোগী মফিজুল ইসলাম বলেন, আমি শ্যামনগর থেকে জমিজমা মামলা জন্য হাজিরা দিতে আসি। সাইকেল গ্যারেজে গাছতলায় বসে থাকা জ্যোতিষী বলেন আমার সামনে ঘোর বিপদ রাহু গ্রাস করেছে পাথর না নিলে সমাধান হবে না। তিনি বলেন এই ৫০০০ হাজার টাকার পাথর নিলো তোর সকল সমস্যা সমাধান হবে। ভুক্তভোগী লাবসার শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল মানুষ কে বিভিন্ন ভাবে ঠকানো হয়। আংটি দিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের নামে ঠকানো হয়।

বাইরে ৫০ টাকা একটি ডাবের দাম হলেও ডিসি পার্কের সামনে বসে বাপবেটা ডাব বিক্রেতা ৮০-১০০ টাকা একটি ডাবের দাম নেন। কিছু বললে বলে আমি জজকোর্টের সাহেবদের লোক। কি করবেন আপনি। আরেক ভুক্তভোগী ওসমান গণি বলেন, নারী শিশু নির্যাতন আদালতে বোনের মামলায় স্বাক্ষী দিতে সময় কাটানোর জন্য ৩-৪ বন্ধু নিয়ে গাছতলায় বসলে প্রথমে শিলার হয় জ্যোতিষীর কাছে সমস্যার কথা বলে আংটি দেন। তৃষ্ণা মেটাতে ডাব খেতে গেলে ৪০-৫০ টাকার ডাব ৮০ টাকা নেন। কিছু বলতে গেলে হুমকি দিয়ে বলেন এখানে এই দামল খেতে হবে। ডাব খেয়েছেন টাকা দিয়ে যান। জজকোর্টের নাজির শাহাবুদ্দিন বলেন, এসকল দোকান পাঠের কোন বৈধতা আমরা দেয় নাই। এরা আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলে। মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করলে তারা আবার অবৈধ ভাবে দোকানপাট গড়ে তোলো।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত