সুব্রত কুমার গোলদার (খাজরা) প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে এবার পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ভাবে সূর্যমূখী ফুলের চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলন হওয়ার লক্ষণ দেখছেন স্থানীয় কয়েকজন কৃষক। যার ফলে অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত এই সূর্যমূখী ফুলের চাষ খাজরা ইউনিয়নে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। বিগত বছর গুলোতে এই অঞ্চলে এই ফসলের আবাদ হয় না বললেই চলে।
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রæয়ারি) সকালে খাজরা ইউনিয়নে সরকারি সহায়তা প্রাপ্ত ৫জন সূর্যমূখী ফুল চাষীর মধ্যে প্রভাষক হিরন্ময় মন্ডল ও নলীনি রঞ্জন মন্ডলের ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়,প্রায় ১ বিঘা জমিতে দুই খন্ড করে লাগানো হয়েছে সরকারি সহায়তার সূর্যমূখী ফুলের ক্ষেত। এক ক্ষেতে বেশ কিছু গাছে সবুজ পাতার উপরে দক্ষিনা বাতসে দুলছে হলুদ রঙের সূর্যমূখী ফুল। মৌমাছি ফুলের পরাগায়নে ব্যস্ত। পাশের বড় ক্ষেতে ফুলের মুকুল ফোটার অপেক্ষা করছে।
খেসারী আর মুগের ডালের গাছে ফল এসে গেছে। তবে সঠিক রোগ নির্নয় করতে না পারায় খেসারী আর মুগের ডালের ফলন খুব একটা ভাল হবে না এমনটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রভাষক হিরন্ময় মন্ডল জানান,আমরা দুইজন কৃষক এবার সরকারি সহায়তায় ১বিঘা জমিতে সূর্যমূখী ফুলের চাষ করেছি। গাছের বয়স আড়াই মাস। কিছু গাছে ফুল এসে গেছে। বাকী গাছগুলোতে কুড়ি এসে গেছে। আর একমাস পরে আমরা পরিপক্ক বীজ সংগ্রহ করতে পারব বলে আশা করছি। তিনি আরও বলেন বীজ,চাষ,সার,কীটনাশক সব মিলে এক বিঘা জমি আবাদ করতে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হয়। খরচের তুলনায় এ ফসলের চাষে লাভ বেশি।
তবে তিনি অনেকটা আক্ষেপ করে বলেন,সরকারি সহায়তায় হয়ত আমরা বীজ পাই। বীজ পাওয়ার পর উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের আমরা সঠিক সময়ে কাছে পাই না। ফলশ্রæতিতে আমাদের ভাল ফসল উৎপাদন করতে পারি না। এ বিষয়ে আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিসের খাজরা বøকের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারি কৃষি অফিসার সানা আবু জাফর জানান,আমরা এবছর ৫জন কৃষককে সূর্যমূখী ফুলের বীজ সরকারি কৃষি প্রনোদনার অংশ হিসেবে বিনামূল্যে বিতরণ করেছিলাম। এবছর ফলন ভাল হলে আগামীতে আরোও কৃষক এই চাষে আগ্রহ বাড়বে। আমরা সব সময় চেষ্টা করি কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করার। স্থানীয় কৃষকরা বারংবার একই দাবি আসছে তাদের পর্যাপ্ত মিঠা পানির উৎস্য তৈরী করা হোক। পতিত খালগুলো পূর্ন উদ্ধার করে খনন করে মিঠা পানির পর্যাপ্ত উৎস্য তৈরী করা সম্ভব। তাহলে অনবাদী জমি গুলো পূর্নাঙ্গ ফসল ফলাতে সক্ষম হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।