মাতিনুল হামিদ : ফাগুনের সোনালী সূর্যের আলোয় ঝলমলে সকালে নবজীবন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে ২৭ ও ২৮ ফেব্রæয়ারি মঙ্গলবার ও বুধবার উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। ১ম দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এবং ২য় দিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ইন্সটিটিউট মাঠে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া দুপুরে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নব জীবন এর প্রতিষ্ঠাতা শহিদুজজামান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক তারেকুজ্জামান খান। এছাড়াও নব জীবন এর কার্যনির্বাহী সভাপতি শামসুজ্জামান খান ও কলেজের অধ্যক্ষ শেখ রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নবজীবন ইন্সটিটিউট এর প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন সহ কলেজের সকল টেকনোলজির শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন কম্পিউটার টেকনোলজি ও রানার আপ সিভিল টেকনোলজি দলের মাঝে ট্রফি তুলে দেন প্রধান অতিথি। ৮ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এর ৫ম স্থান অধিকারী ছাত্রকে পুরস্কৃত করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। এছাড়া নিয়মানুবর্তিতা, নেতৃত্ব, সহযোগিতার মতো গুণাবলী বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যারা অংশ গ্রহণ করে জয়লাভ করতে পারেনি, পরাজয়কে হতাশার কারণ না ভেবে, পরবর্তীতে আরও ভালো করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখতে অনুপ্রেরণা জোগান।
এ সময় সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, আমাদের পলিটেকনিক কলেজ খেলাধুলার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি এবং তাদের প্রতিভা বিকশিত করার জন্য নিয়মিত বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি।
তিনি আরো বলেন, সমাজ থেকে কুসংস্কার, অন্যায়-অত্যাচার দূরীকরণে যেমন শিক্ষার বিকল্প নেই, তেমনি মাদকমুক্ত সমাজ গঠনেও খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। লেখা-পড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করার সুযোগ করে দিতে হবে। লেখা-পড়ার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলায়ও পারদর্শী করে গড়ে তোলা শিক্ষকদের দায়িত্ব। সমাজ থেকে মাদক দূরীকরণে সবাইকে সজাগ থাকার আহŸান জানান।
তিনি আরও বলেন, কলেজে আমি এ্যাডভান্সড লার্নিং কোর্স চালু করেছি তোমাদের স্কীল হওয়ার জন্য যাতে করে তোমাদের বেকার জীবন কাটাতে না হয়। তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি তরুণদের নানা উদ্যোগ আর প্রচেষ্টায় তথ্যপ্রযুক্তিতে পরিবর্তন আসছে। তাঁদের হাত ধরেই দেশে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। এতে দ্রæত বদলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন খাত।
তরুণ সমাজ তথ্যপ্রযুক্তির প্রশিক্ষণ হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ও গ্রাফিক্স ডিজাইন, কেয়ার গিভিং কোর্সের মতো নানা কাজ শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছি আমি এই নবজীবন পলিটেকনিক ছাত্রদের জন্য। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। আমার কলেজের তরুণ ছাত্রদের সাজেশন থাকবে নিজেকে স্কীল কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। অনুষ্ঠানে অনুভুতি প্রকাশে শিক্ষার্থীরা বলেন, অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপিত হয়েছে। কলেজের গৌরবজনক ইতিহাসে নতুনমাত্রা সংযোজন করতে সক্ষম হয়েছে।