সেলিম হায়দার : সাতক্ষীরা তালায় মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আম গাছ। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত পুরো এলাকা। আমের ভালো ফলনের আশায় গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পারছেন আম চাষিরা। এদিকে, আমের ভালো ফলন পেতে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি অফিস। শষ্যভান্ডার খ্যাত তালা উপজেলায় লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে আমের চাষাবাদ। এখানে হিমসাগর, হাড়িভাঙা, আম্রপালি, লেংড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির আম চাষা হয়।
এখানকার আমের স্বাদ ভালো ও মিষ্টি হওয়ায় বিদেশেও রফতানি হয়। উপজেলার কয়েকটি আম বাগান ঘুরে দেখা যায়, চাষীরা তাদের বাগানগুলোতে আম গাছের বাড়তি পরিচর্যা করছে। এ বছর বাগানের প্রতিটি আম গাছে মুকুল ধরেছে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধও স্প্রে করছেন আম চাষীরা। আবহাওয়া ভালো হলে আমের ফলনও ভালো হয়। এ বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ খুব বেশি না হলে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছে অধিকাংশ বাগান মালিকরা।
হরিশ্চন্দ্রকাটি গ্রামে লক্ষণ ঘোষ জানান, দিন বিশেক আগে তার বাগানের আম গাছগুলোতে মুকুল আসা শুরু করে। সে কারণে এইসময়ে গাছে পোকার আক্রমণ না করতে পারে, মুকুল যেন ভালো থাকে সেজন্য কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। এতে করে মুকুলে পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারবে না মুকুলগুলোও ভালো থাকবে ও ভালো ফলন আসবে। এছাড়া গাছের গোড়ায় গর্ত করে সেখানে সার দেওয়া হচ্ছে যাতে গাছে পরিপূর্ণ মুকুল আসে ও ভালো ফল ধরে। বাগান লিজ নিয়ে আম চাষ করেন কলিয়া গ্রামের আছাদুজ্জামান। বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও তিনি আমের বাগান লিজ নিয়েছেন।
তিনি জানান, গাছে মুকুল আসার পরপরই বাগানের প্রতিটি গাছে পরিচর্যা শুরু করেছেন তিনি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা তার কাছথেকে আম ক্রয় করে। তালা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজিরা খাতুন জানান, আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। এই অঞ্চলের আম খুবই সুস্বাদু। এ বছর চলতি মৌসুমে মাত্রা বাড়িয়ে ৭শ ৫০ হেক্টর আম চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।