জি এম ফিরোজ উদ্দিন, মণিরামপুর প্রতিনিধি : মনোহরপুর কল্যাণ ট্রাষ্ট একটি মানব সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান টি মেডিকেলে চান্সপ্রাপ্ত রাখী মন্ডলের পাশে দাঁড়ালেন। রাখী মন্ডল মণিরামপুর উপজেলার হতদরিদ্র সুশান্ত মন্ডলের ও সাধনা রানী দসের মেয়ে। রাখী মন্ডল রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। রাখীর এমন সাফল্যে তাকে নিয়ে গনমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “রাখীর মেডিকেলে পড়া নিয়ে শঙ্কা, দুঃশচিন্তায় তার পরিবার, রাখীর ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা” শিরোনামে রাখীকে নিয়ে বেশ আলোড়িত হয়। বিষয়টি মনোহরপুর কল্যাল ট্রাষ্টের এক কর্মকর্তার সামনে উপস্থাপন করেন।
সংগঠনের সকলে বিষয়টি আমলে নিয়ে রাখীকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং মেডিকেলে ভতির্র জন্য নগদ অর্থ তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মো হাফিজুর রহমান, অবসর প্রাপ্ত প্রভাষক প্রনব কুমার সরকার, আ. রহিম সরদার, আ. সাত্তার সরদার, সাংবাদিক জি এম ফিরোজ উদ্দিন, ডা মোশাররফ হোসেন,আবু সাইদ, জি এম শাহিদুজ্জামান প্রমূখ। মনোহরপুর কল্যাণ ট্রাষ্টের সসকল সদস্যরা কজন আর্তমানবতার মানুষ।
তিনি আজীবন সমাজের দুঃস্থ, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করছেন। আশ্রয়হীন মানুষের মাথা গোঁজার ঠিকানা, কখনো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাাঁড়ানো, কখনো চিকিৎসা সেবায় আবার কখনো বা লেখাপড়ার খরচ যোগাতে নগদ অর্থ তুলে দেওয়ায় হলো মনোহরপুর কল্যাণ ট্রাষ্টে রুটিন মাফিক কাজ। একদিকে, আত্মমানবতায় নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন অন্যদিকে, ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, এতিমখানা, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়াঙ্গনেও নিজেদের করে রেখেছেন আজীবন। সভাপতি মুরতজা আলী টুটুল বলেন, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কিছু করা, তাদের পাশে থাকা এটা আমার জীবনের একটি অংশ। ধর্মীয়, দাতব্য, ক্রীড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবই সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সমাজের প্রতিষ্ঠিত সকল ব্যক্তিবর্গকে এ সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত থাকা দায়িত্ব ও কর্তব্য সেই উপোলব্ধি থেকেই নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি।
