বিশেষ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের উপর ভৈরব নগর এলাকায় মরা গরুর ভাগাড় করায় দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পথচারীরা। সরেজমিনে খোজ খবর নিয়ে জানাগেছে, দীর্ঘ এক বছর ধরে তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের খুলনা-সাতক্ষীরার প্রধান এই সড়কের ভৈরবনগর ও মিঠাবাড়ী এলাকায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া গরু ফেলে রাখা হচ্ছে।
এলাকার লোকজন এসব মৃত গরু গর্তে না পুঁতে সড়কটির উপর ফেলে রাখায় দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বাতাসে মাইলের পর মাইল দূর্গন্ধ ছড়ানোই পরিবেশ চরম ভাবে দুষিত হচ্ছে। এতে রাস্তায় চলাচলকারি পথচারি ও এলাকার বসবাসরত ঘর-বাড়ীতে লোকজন প্রকট দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। অনেকে অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রাস্তার ধারে যত্রতত্র ভাবে ফেলেরাখা মৃত পশুর প্রকট পঁচা দূর্গন্ধের কারনে ওই এলাকার কৃষকরা ক্ষেতে ও মৎস্য ঘেরে কাজ করতে পারছেনা।
এলাকার লোকজন ওই স্থানে গেলেই মূখে কাপড় ও নাক এটে চলাচল করতে দেখা গেছে। এত কিছুর পরেও পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের টনক নড়েনি। এটির যেন দেখার কেউ নেই। সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামের কাছে বিষয়টির প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বার বার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির নেতা আলিনুর খান বাবলু জানান, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। কিন্তু সেটি তারা না দেখায় এলাকার পরিবেশ দুষিত হয়ে জনসাধারণ দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। পশুর বর্জ্য ও মৃত পশুর পঁচা দূর্গন্ধে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বিষটি নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেননি। এসব দেখার তার কোন মাথা ব্যথা নেই।
সাতক্ষীরা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পেশাভিত্তিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, এটিই প্রথম বার নয় এর আগেও একাধিক বার এমন ঘটনা ঘটেছে। জেলার কোথাও মরা গরু মারা গেলে সেটিকে এনে সড়কের পাশে ফেলা হয়। এতে করে সাতক্ষীরা শহরে প্রবেশের সময় যানবাহনে থাকা যাত্রীরা তীব্র দুর্গন্ধ পোহান। স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের পথে বিঘœ ঘটে।
নগরঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপু বলেন, মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। এভাবে মৃত গরু ফেলে রাখার কারনে প্রকট দূর্গন্ধে সাধারন মানুষ দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কারা এলাকার মৃত গরু এনে রাস্তার পাশে ফেলে রাখছে সেটি ধরার জন্য গ্রাম পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনদূর্ভোগ থেকে রেহায় পেতে ও শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।