রবিবার , ১০ মার্চ ২০২৪ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

আশাশুনিতে পিচের রাস্তা খুড়ে বানানো হচ্ছে ইটের রাস্তা

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
মার্চ ১০, ২০২৪ ১২:২১ পূর্বাহ্ণ

আশাশুনি ব্যুরো : পিচের সড়ক সংস্কারের নামে বানানো হচ্ছে ইটের সড়ক। চারিদিকে যখন সড়ক-মহাসড়কে উন্নয়ন কাজ চলছে, ঠিক তখনি ব্যতিক্রমধর্মী এমনি এক আজব সড়কের দেখা মিলেছে আশাশুনি উপজেলায়। আশাশুনি উপজেলার সাথে খুলনা জেলার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলার সংযোগ সড়কের মানিকখালী থেকে বড়দল অংশে এই বেহাল দশা।

পিচের কার্পেটিং করা সড়ক নষ্ট হয়ে যাওয়া স্থান গুলোর কার্পেটিং বা সংস্কার না করে বসানো ইট। বসানো ইটের গুনগত মান নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন?

তারপরও পিচের কার্পেটিং করা সড়কের রুপ বদল করে নির্মিত ইটের সড়কে নি¤œমানের ইট ব্যবহার করায় সাধারণ জনগণ থেকে স্থানীয় জন-প্রতিনিধিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সবমিলিয়ে পিচের কার্পেটিং করা সড়কের রুপ পাল্টে সেই মান্ধাতার আমলের ইটের সড়ক করার কাজে মানহীন ইট ব্যবহার, যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়া পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় জুড়ে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আশাশুনি উপজেলার সাথে খুলনা জেলার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা সহ একই উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের অন্যতম প্রধান সড়কটি বড়দল ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত। কয়েক শত বছর আগে গড়ে উঠে দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম বড়বাজার বড়দল বাজার বা বড়দল হাটে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। প্রতিদিন সাতক্ষীরা জেলা ও আশাশুনি উপজেলা শহরে যাওয়া সহ বিভিন্ন কাজে প্রায় দশ কিলোমিটার এই সড়কে ছোট বড় হাজার হাজার পরিবহন।

সেবিবেচনায় বহু বছর আগে আশাশুনি থেকে বড়দল বাজারে এই সড়কটিতে ইটের হেরিং তুলে করা হয় কার্পেটিং এর সড়ক। পাশাপাশি এই সড়কের দুই প্রান্তে দুটি ব্রীজ নির্মান করা হয়। প্রথমে মানিকখালী ব্রীজটি নির্মানের ফলে আশাশুনি সাথে এই সড়কটির মাধ্যমে সংযোগ ঘটে বড়দল ইউনিয়ন সহ আরো কয়েকটি ইউনিয়নের অন্যদিকে এই সড়কের অপর প্রান্তে নির্মিত বড়দল ব্রীজটি সংযোগ করে খুলনার পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলাকে।

আশাশুনি-বড়দলের এই পিচের সড়ক তৈরি হওয়ার পর বহুবার এই সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু গত বছর সড়কটি সংস্কারের নামে খুড়ে কয়েকটি স্থানে বসানো হয় ইট। আর চলতি বছরে এই ইট বসানোর কাজ চলছে অনেক স্থানে তাও আবার এই ইটের গুনগত মান খুবই নি¤œমানের ।

এদিকে গত বছর বসানো ইটের গুনগত মান ভালো না হওয়াতে তাও নষ্ট হওয়ার পথে।

এবিষয়ে স্থানীয় বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা বলেন-আমি সহ আমার ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের একই প্রশ্ন পিচের বদলে ইট কেন? গত বছর প্রথম যখন পিচের কার্পেটিং খুড়ে ইট বসানো হয় তখন স্থানীয় সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাছে আমি প্রশ্ন করেছিলাম এবং তাদের কাজ বন্ধ রাখতে অনুরোধ করেছিলাম। তারা বলেছিলেন এটা সাময়িক সংস্কার কিন্তু সেই সংস্কার স্থানীয় হয়ে গেছে। পিচের কার্পেটিং এর সংস্কার তো হয়নি বরং চলতি বছরে আবারও পিচের কার্পেটিং খুড়ে নতুন করে ইট বসানো হচ্ছে।

পাশাপাশি খুবই নি¤œমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে দাবি করে জগদীশ চন্দ্র সানা বলেন, যে ইট ব্যবহার হচ্ছে তা দুই মাসও টিকবে না, এ ইটের উপর দিয়ে হালকা থেকে মাঝারি যানবহন চলাচল করলে ভেঙে গুড়ো হয়ে ধুলোতে পরিনত হবে। এবিষয়ে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফ মাহমুদ বলেন, এধরনের সড়ক সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলাতে করা হয়েছে। দুর্যোগ প্রবণ এলাকা হওয়াতে এই ধরনের সংস্কারের প্লান আমি এখানে যোগদানের আগে ইঞ্জিনিয়াররা করেছেন।

পিচের কার্পেটিং করা সড়কটি খুড়ে ইট বসানোর কারনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আপত্তি সম্পর্কে তিনি বলেন- এগুলো ইঞ্জিনিয়ারদের বিষয়, এটা ইঞ্জিনিয়ারিং প্লান, এগুলোর বিষয়ে সাধারণ জনগণ বা জনপ্রতিনিধিদের বোঝার কথা না। ইটের গুণাগত মান সম্পর্ক তিনি বলেন-এ ধরনের কোন অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে কেউ আসেনি। যেহেতু অভিযোগ পেলাম সে ক্ষেত্রে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে প্রয়োজনে এমন হলে বসানো ইট পাল্টে নতুন করে দেয়া হবে।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর