শেখ বাদশা, আশাশুনি ব্যুরো :আশাশুনি প্রতাপনগরের খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙ্গন। চরম আতংকিত এলাকাবাসী। ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবি। গত সোমবার বিকালের ভাটায় প্রতাপনগর ইউনিয়নের হরিশ খালির প্রভাষক মাওঃ শাহজাহান আলীর পুরাতন বাড়ী সংলগ্ন পাঞ্জেগানা মসজিদের পূর্ব অংশের প্রায় ২৫০ ফুট এরিয়া জুড়ে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দেয়।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে মূল বেড়িবাঁধের এক তৃতীয়াংশ ভেঙ্গে ইতোমধ্যেই নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনের গতি একটু কমলেও এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক কাটেনি। ভাঙ্গনটি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় এলাকাবাসী চরম শংকিত। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে খোলপেটুয়া নদীর লোনা জলে প্রতাপনগর ইউনিয়ন প্লাবিত হতে পারে। আর এলাকা প্লাবিত হলে এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
এছাড়াও এলাকার চাষাবাদসহ মৎস্য চাষ, গবাদিপশু, রাস্তা ঘাটে সহ স্কুল মাদ্রাসা কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দির সহ সার্বিক অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। তাই সময়ের এক ফোড় অসময়ের দশ কথাটির তাৎপর্য গুরুত্ব দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের দাবি ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর।
ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শনে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু দাউদ ঢালী বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ প্রশাসনের সকল স্তরে ভাঙ্গের বিষয়ে জানানো হয়েছে। আশাকরি দ্রæত ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এরপরও এলাকাবাসীর সকলেই সজাগ থাকতে হবে। ভাঙ্গনটি মূল বেড়িবাঁধে ভাঙন লাগার সাথে সাথে মূল বেড়িবাঁধের মুখে বাঁধের উপর বসবাস করা আফফান হোসেনের পরিবার গভীর রাতের মধ্যে তার বসবাস করা ঘরটি তাড়াহুড়ো করে ভেঙ্গেচুরে খুলে নিয়েছে।
মূল ভাঙ্গের পাশাপাশি বেড়িবাধের উপর বসবাস করা অন্যান্য পরিবার গুলো চরম আতংকিত অবস্থা সময় পার করছে। অত্র এলাকাটি ঘুর্নিঝড় আম্ফান ও ইয়াসের কারনে বিগত দু বছর খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এলাকা নদীর লোনা জলে প্লাবিত ছিল। এহেন অবস্থায় এলাকার মানুষ এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
এ অবস্থায় আবারো যদি খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। তবে এলাকার সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি হবে। দীর্ঘ চার বছর পর এবছরই এলাকাবাসী ধান চাষ সহ নানা ধরনের ফসলের চাষাবাদ করেছে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সময়ের দাবি বলে জানান ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।