শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগরে ড্রেজার মেশিনে ও বোরিং করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি মহল। আর উপজেলা প্রশাসন টাকার বিনিময়ে নীরব ভ‚মিকায়। হাইকোর্টের ১৬৩৯২/২০১৭ খ্রিঃ নং রীট পিটিশন আদেশ অমান্য করে অবৈধ বালু উত্তোলন কার্যক্রম চলছে। এভাবে বালু উত্তোলন করতে থাকলে পরিবেশ ও জীব জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা।
শ্যামনগরে নদী ভাঙ্গন এলাকাসহ ঘনবসতি লোকালয়ে ড্রেজার মেশিনে বা বোরিং করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে রমজাননগর ইউনিয়নের কৈখালী কোষ্টগার্ড থেকে টেংরাখালী সুইচ গেট পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার পাউবোর রাস্তায় মুজিবর কাগুচীর ঘের থেকে বোরিং করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন।
এ বিযয়ে চেয়ারম্যান আল মামুনের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করেন। এ ছাড়া সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের বাহিরে চারিদিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকায় টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছে একটি মহল।
তথ্যে আরো জানা গেছে ৪/৫ টি ছোট কার্গো ও ৮/১০টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার প্রতিনিয়ত গোন মুখে ভোর সকালে খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদী ভাঙ্গন এলাকা থেকে ড্রেজার মেশিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে রমজাননগর ও কৈখালী ইন্ডিয়ান সহকারী ভ‚মিকর্তা আইনুল হকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন ইউএনও স্যারের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করি। কিন্তু আমি চলে আসার পর আবার বালু উত্তোলন শুরু করে। পরে আমি সারকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিবুল আলম এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি দেখতেছি।