ফজলুল হক, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : দীর্ঘ ১৮ বছর একই বিদ্যালয়ে চাকরি করা, পরীক্ষায় পাশ, ভর্তি করানোর নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অর্থ আদায় ফল, মূল্ নেওয়া সহ বিদ্যালয় ভবনের দোকান ঘর ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ সহ নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ০২নং উত্তর কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৫ মার্চ) বেলা ১১ টার সময় বিদ্যালয় ভবনে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ এ তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন।
তবে তদন্তের সময় অত্র স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইউপি সদস্য বরুন ঘোষের গ্রæপের সঙ্গে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল ঘোষের ভাড়াটিয়া লোকজনের সঙ্গে বাক বিতন্ডতায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পরে তদন্ত কর্মকর্তা আলাদাভাবে পৃথক কক্ষে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। তদন্তের সময় অভিভাবক সদস্য মনিরুজ্জামান মিঠু, রাবেয়া খাতুন, আনজুয়ারা, জানু, মন জুয়ারা, কুদ্দুস, নির্মল সেন, জাকির হোসেন সহএকাধিক অভিভাবকরা তদন্ত কর্মকর্তার নিকট জানান অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিমল চন্দ্র ঘোষ দীর্ঘ ১৮ বছর উত্তর কালিগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করার সুবাদে তিনি প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাইয়ে বিদ্যালয় এর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ভর্তি ফি বাবদ জনপ্রতি ১০০ টাকা, ভর্তি ফি বাবদ প্রতি ক্লাসের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৫০ টাকা, ছাড়াও পরীক্ষায় পাশ করানোর নামে এবং চারুকলা পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে আপেল, আঙ্গুর, নাশপতি ফলমূল নেওয়া ছাড়াও স্কুলের দোকান ঘর ভাড়া দেওয়ার প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ প্রসঙ্গে তুলে ধরেন এবং তার অপসারণের দাবি জানান।তদন্তের সময় স্কুলের অভিভাবক ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন সদস্যরা, সুধী, সাংবাদিক এবং উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দায়িত্বপ্রাপ্ত ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগের বিষয় তদন্ত কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত করে যেটা পাবো সেটা নিয়ে আমি প্রতিবেদন আকারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকটে পেশ করব। এ বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত আমিয়ান গ্রামের অজিত ঘোষের পুত্র পরিমল ঘোষ দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে উত্তর কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার দায়িত্ব পালনের সময় স্কুলের সংস্কার কাজের টাকা এবং ¯িøপের টাকা আত্মসাৎ সহ নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগের এর আগেও একাধিকবার তদন্ত সত্যতা পেলেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতিনিয়ত তার অপকর্ম বেড়েই চলেছে। তাকে দ্রæত অপসারণের জোর দাবি জানিয়েছে এলাকার অভিভাবক সুধি বৃন্দ।