সুব্রত কুমার গোলদার (খাজরা) আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনির খাজরার পল্লীতে আবারও চেতনা নাশক ঔষধ স্প্রে করে একটি পরিবারের তিন সদস্যদের অজ্ঞান করে স্বর্ণের গহনা, নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে ইউনিয়নে অজ্ঞান পার্টি আতঙ্কে দিন কাটছে সবার। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত্রে উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ফটিকখালী গ্রামের বাসিন্দা আফজাল সরদারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
অজ্ঞান পার্টির ঔষধে পরিবারের তিন সদস্য এখনো জ্ঞান না ফেরায় তাদের কেমন আত্বীয় পরিচয় ছিল তার সঠিক জানা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় অসুস্থ রয়েছেন আফজাল সরদার (৪০) তার স্ত্রী ময়না খাতুন (৩৫) ও ছেলে মনিরুল ইসলাম (২২)। তবে পরিবারের দুটি শিশু সন্তান তারা সুস্থ রয়েছে। তাদেরকে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। খাজরা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রামপদ সানা জানান, গত দুই-তিন দিন আগে আফজালের বাড়িতে অপরিচিত এক যুবক ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। পরিচয় জানতে চাইলে তাদের আত্বীয় বলে জানায়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে সুযোগ বুঝে চেতনাশক ঔষধ ¯েপ্র করে বাড়ির তিন সদস্যকে অজ্ঞান করে সর্বস্ব নিয়ে ভোরে সটকে পড়ে। তিনি আরো জানান, প্রতারক যুবক মামার বাড়ি তালা উপজেলা। বাড়ি খুলনায় বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান। তবে তাদের কত টাকা বা সোনার গহনা নিয়ে গেছে জ্ঞান না ফেরাই সঠিক তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, গত এক মাসে চেতনা নাশক ঔষধ ¯েপ্র করে খাজরা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, গোলাম মাওলানার বাড়ি থেকে একই কৌশল অবলম্বন করে সর্বস্ব লুটে নিয়ে গেছে প্রতারক চক্র। এসব ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি। আশাশুনির থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী জানান, অজ্ঞান পার্টির কবলে সর্বস্ব লুটের খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ পাঠিয়েছি। এসব এলাকা চিহ্নিত করে রাতে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। অপরিচিত লোক রাতে ঘোরাফেরা করলে পুলিশকে খবর দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।