নিজস্ব প্রতিনিধি : শেষ মুহূর্তে সাতক্ষীরায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। একমাস সিয়াম সাধনার পরে আগামী বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদ-উল ফিতর। ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত সাতক্ষীরা শহরের ফুটপাত থেকে শুরু করে ছোট-বড় শপিংমল গুলোতে জমছে উপচে পড়া ভিড়।
শহরের প্রাণ কেন্দ্র নিউমার্কেট সংলগ্ন বসুন্ধরা শপিংমল, মোল্যা মার্কেট, আমিনিয়া সুপার মার্কেট, আলবারাকা, বাজার কোলকাতা, অরণী শপিংমল, সিটি সেন্টার, বড়বাজার সড়কে ফুটপাত কাপড়ের বাজার, রনি-মনি হকার্স মার্কেট, মেহেরুণ পালাজা, মেহেদী সুপার মার্কেট, সাতক্ষীরা ভ্যারাইটি স্টোর, সঙ্গীতা মোড়ে ইনফিনিটি সহ বিভিন্ন গার্মেন্ট ও প্রশাধনীর দোকান গুলোতে কেনা-কাটার ভিড়।
এছাড়া সদর থানা মসজিদের সামনে এবং বড় বাজারে সমল্লা ভান্ডার ও বকাল ভান্ডার, শহীদ নাজমুল স্মরণীতে আরমান স্টোরসহ ছোট-বড় দোকান গুলেঅতে বিক্রি হচ্ছে দেশি-বিদেশি আতর, টুপি, জায়নামাজ, তসবী, পাঞ্জাবী-পায়জামা।
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের বাজার গুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সাতক্ষীরা ভূমি অফিসের সামনে বসুন্ধা মার্কেটের কীডস্ ওয়াল্ডে বিক্রি হচ্ছে জিরো বাচ্চাদের থেকে শুরু করে বার বছরের ছেলে ও মেয়েদের জামা কাপড়। কীডস্ ওয়াল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, কীডস্ ওয়াল্ডে শিশুদের জন্য রয়েছে গেঞ্জি সেট, ফোরাগ, টপস, স্কার্ট, জিন্স, জুতা, ঘড়ি, মেহেদী। এখানে বাচ্চাদের গেঞ্জিসেট সর্বনিম্ন ২২০ টাকা থেকে করে সর্বচ্চ্য ১১শ টাকা মূল্যের।
স্কার্ট সর্বনিম্ন ৩শ টাকা থেকে ২২শ টাকা, ফতুয়া ১৫০ টাকা থেকে, ৩শ টাকা, টপস ৩শ টাকা থেকে ৭শ টাকা। এছাড়া মেয়েদের সারারা, ঘারারা, নায়রাসহ দেশি-বিদেশি জামা কাপড়। সারারা বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ১৭৫০ টাকা থেকে ২৮৫০ টাকা, ঘারারা-১৬৫০ থেকে ২৩৫০টাকা, টপস ৬শ টাকা থেকে সর্বচ্চ্য ১২শ টাকা।
এছাড়া ছেলেদেও পাঞ্জাবী সর্বনিম্ন ৪৫০ ঠাকা থেকে সর্বচ্চ্য ১৪৫০ টাকায়। জিন্স প্যান্ট, ফুলপ্যান্ট, থ্রি-কোয়াটার, মেহেদী ও দেশি-বিদেশি জুতা বিক্রি করা হচ্ছে কীডস্ ওয়াল্ডে।
এদিকে, শহরের মেহেদী সুপার মার্কেটের সতরূপা গার্মেন্টেসে মেয়েদের জন্য বিক্রি হচ্ছে দেশি-বিদেশি থ্রি-পিচ। সতরূপার সত্বাধীকারি মনিরুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তার প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করছেন বিভিন্ন কোয়ালিটির থ্রি-পিচ। নাইরা থ্রি-পিচ সর্বনিম্ন ৩ হাজার থেকে সর্বচ্চ্য ৬/৭ হাজাড়র টাকা, সারারা-৩ হাজার থেকে ৬হাজার টাকা, বিপুল ২হাজার থেকে সর্বচ্চ্য ৬ হাজার টাকার থ্রি-পিচ বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়া তামান্না বস্ত্রালয়, প্রিন্স বস্ত্রালয়, নিপা বস্ত্রালয়, বড় বাজার ভ্যারাইটি স্টোর ও ফ্যাশন কিং সহ কাপড়ের দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে দেশি-বিদেশি শাড়ি। দেশি শাড়ির মধ্যে রয়েছে জামদানী, ঢাকায় জামদানী, বেনারশি, কাতান সহ বিভিন্ন প্রকারের শাড়ি। আর বিদেশি শাড়ির মধ্যে রয়েছে কানাভোলা শাড়ি, ভোনাই শাড়ি, ড্রাগন সিল্ক সহ বিভিন্ন প্রকারের শাড়ি। তবে শাড়ির বাজারে সর্বনিম্ন ৫শ টাকা থেকে শুরু করে সর্বচ্চ্য ১২ হাজার টাকা মূল্যেও শাড়ি বিক্রি করা হচ্ছে।
আবার, সদর থানা মসজিদের সামনে দেশি আতরের পাশাপাশি পাকিস্থানী, জার্মানী, দুবাই, তুর্কিস্থান, সৌদি আরব, কাতার, ইন্ডিয়ান আতর সহ বিভিন্ন সুগন্ধী বিক্রি করা হচ্ছে। আতরের পাশাপাশি দেশি ও বিদেশি টুপি এবং জায়নামাজ বিক্রি করা হচ্ছে।
শহরের আমিনিয়া সুপার মার্কেটে শুধুমাত্র ছেলের জন্য নিচতলা এবং দ্বিতীয় তলায় বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, ফতুয়া, কাবলী ড্রেস, পাঞ্জাবী ও পায়জামা।
এদিকে, ঈদ উপলক্ষে নতুন জামা-কাপড়ের পাশাপাশি ক্রেতারা জুতার দোকানেও ভিড় জমাচ্ছেন ঈদে নতুন জুতা কিনতে। মূলত থানা সড়ক ও বড় বাজার সড়কে বেশির ভাগ জুতার দোকানে জুতার পরশা সাজিয়ে বিক্রি হচ্ছে নতুন জুতা। জুতার দোকান গুলোর মধ্যে নিপুন সু হাউজ, স¤্রাট, লিবার্টি, এ্যাপেক্স, মংয়মন সিং জুতা ঘর সহ বিভিন্ন ছোট-বড় শপিং মলে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে তরুণ, যুবক ও বয়স্ক মানুষের জুতা।