শনিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

আদালতের আদেশ মানতে গড়িমসি করছেন খুলনা বিভাগীয় প. প পরিচালক রবিউল আলম

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
এপ্রিল ২০, ২০২৪ ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিনিধি : খুলনা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের আদেশ মানতে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছে খুলনা পরিবার পরিকল্পনার বিভাগীয় পরিচালক সৈয়দ রবিউল আলমের বিরুদ্ধে। চলতি মাসের ৪ এপ্রিল খুলনা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল এক আদেশ জারি করেন খুলনা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র জজ আব্দুল মান্নান। জানা যায়, গত ৪ তারিখ আদেশ জারির পর ৫ ও ৬ তারিখ ছিলো শুক্র ও শনিবার।

৭ তারিখ ছিল লাইলাতুল কদরের ছুটি। আদালতের তথ্য মোতাবেক ৮ এপ্রিল খুলনা বিভাগীয় পরিচালক রবিউল আলমকে ট্রাইব্যুনাল আদেশটি ডাকযোগে প্রেরণ করেন। ৯ এপ্রিল ডাইরেক্টর রবিউল আদেশটি পান। এর পরে ১০ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত ঈদের ছুটি পড়ে যায়। পরের দিন ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের ছুটি। ১৫ এপ্রিল থেকে পুরো দমে অফিস খোলে। ৪ কর্মদিবস পার হয়ে গেলেও ডাইরেক্টর রবিউল আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে উদাসীন।

খুলনা পরিবার পরিকল্পনার পরিচালকের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতের আদেশ অবশ্যই মানবো। নানা ব্যবস্থার কারণে আদেশ পড়ার সময় পাইনি। আদালতের আদেশ অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলার কিংবদন্তী চিকিৎসক সাতক্ষীরা বিএমএ’র সিনিয়র সভাপতি সাবেক সিভিল সার্জন ডা: মো: এবাদুল্লাহ সাহেবের পুত্র মো: নিয়াজ ওয়াহিদকে গত বছরের ১৩ নভেম্বর সাতক্ষীরা সদর থেকে দেবহাটা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে বদলি করেন জেলা পরিবার পরিকল্পনার ডিডি বসীর আহমেদ। সেই বদলীর আদেশ প্রাপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী দেবহাটা উপজেলা প:প: অফিসে নিয়মিত অফিস করতে থাকে। কিন্তু মাত্র ৩ মাস ১২ দিনের মাথায় খুলনা বিভাগীয় পরিচালক দেবহাটার তৎকালিক ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা অফিসার পলাশ দত্তের কানপড়া শুনে নিয়াজ ওয়াহিদ কে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর উপজেলাতে স্ট্যান্ড রিলিজ করে দেন।

কিন্তু সরকারি চাকুরীর বিধান রয়েছে তয়-৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের কে প্রশাসনিক কারন ছাড়া ঘনঘন বদলি করা যাবেনা। আবার জেলার বাহিরে বদলি করা যাবেনা। ভুক্তভোগীর স্ত্রী সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসে কর্মরত। চাকুরি বিধানে আছে স্বামী স্ত্রী কে যতদুর সম্ভব একই কর্মস্থলে পদায়িত রাখতে হবে।

কিন্তু কোনো রকম নিয়ম নীতি না মেনেই খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মো: নিয়াজ ওয়াহিদ কে চুয়াডাঙ্গা জীবন নগরে বদলি করে দেন। ভুক্তভোগী ঐ তর্কিত বদলি অবৈধ মর্মে খুলনা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে বদলি স্থগিত। বাতিলের জন্য মামলা করে দেন। মামলা নং ১৩ তারিখ ২৭-০২-২০২৪। ঐ মামলার নথি পর্যালোচনা করে আদালত। পরে কি কারনে নিয়াজ ওয়াহিদ কে বদলি করেছেন সেজন্য ডাইরেক্টর খুলনা কে নোটিশ প্রদান করে চানতে চান আদালত।কিন্তু ডাইরেক্টর খুলনা আদালতের নোটিশের কোন উত্তর দেননি। পরে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র জজ আব্দুল মান্নান বদলির আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত রাখেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো: নিয়াজ ওয়াহিদ জানান, আমার বাবা সাতক্ষীরা জেলার অবসর প্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীররা বিএমএ’র সিনিয়র সভাপতি। তিনি দীর্ঘ ৪৫ বছর যাবৎ সাতক্ষীরা জেলার অসহায় ও দুস্থ্য মানুষ দের নামমাত্র ফি ১০ টাকায় চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। যেটি দেশবাসী জানেন। তিনি জানান, একজন সনামধন্য চিকিৎসকের সন্তানকে হয়রানী মুলক বদলী করবে সেটা মেনে নেওয়া যায়না। তিনি এ বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর