শেখ বাদশা, আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট বাজার সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীর দীর্ঘ বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন ধরায় প্লাবিত হওয়ার আতংক ব্রাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে। রবিবার সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট বাজার থেকে হাজরাখালি খেয়াঘাট গামী খোলপেটুয়া নদীর বেড়ীবাঁধ দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত জরাজীর্ণ হয়ে রিং বাঁধে পরিণত হয়েছে।
নদীর প্রবল জোয়ারের চাপ বা জোয়ারের সময় দমকা হাওয়া বা ঝড় বৃষ্টি বইলেই যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে জরাজীর্ণ নদীর এ বেড়ীবাঁধ। এর ফলে প্লাবিত হতে পারে প্রতাপনগর, আনুলিয়া, খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের বির্তীর্ণ এলাকা।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে সংস্কারের নামে সাধারণ মানুষের রেকর্ডীয় জমির মধ্য দিয়ে বিকল্প বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এরপর থেকে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আনুলিয়ার নদী রক্ষা বাঁধ আবারো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় বিকাশ চন্দ্র সরকার এ প্রতিবেদকে বলেন বেড়ীবাঁধ স্থায়ীভাবে সংস্কার না হওয়ায় প্রতিবছর নদীর প্রবল জোয়ারের পানির আঘাতে নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে রিং বেড়ীবাঁধে পরিণত হয়। এলাকা প্লাবিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষের রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর দিয়ে বিকল্প বেড়ীবাঁধ দিতে হয়েছে।
এ সময় তিনি নদীর অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির উপর দিয়ে স্থায়ী, টেকসই নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। স্থানীয়রা আরো বলেন, আমরা ত্রান বা অনুদান চাইনা, চাই নদীর টেকসই বেড়ীবাঁধ। তা না হলে প্রতিবছর নদীর বেড়ীবাঁধ ভেঙে মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি নদীর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়ে একাকার হয়ে যাবে। পানিবন্দি হয়ে পড়বে চার ইউনিয়নের অসহায় সাধারণ মানুষ।
সাতক্ষীরা-৩ আসনের এমপি প্রতিনিধি তৌষিকে কাইফু এ প্রতিবেদককে বলেন, খোলপেটুয়া নদীর আদি গতিপথ হারিয়ে বিছট গ্রামের নদী সংলগ্ন কৃষি জমি ভাংতে শুরু করেছে। বিষয়টি সাতক্ষীরা-৩ আসনের সাংসদ অধ্যাপক ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক এমপিকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড পৌর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুর রহমান বলেন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মেহেদী হাসান মিশুক-কে সাথে নিয়ে ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। একই সাথে ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। অতি দ্রæতই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া টেকশই বেড়ীবাঁধ নির্মাণের জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।