ফজলুল হক, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : ফেসবুক ও পূর্ব পরিচয় অতঃপর এর সূত্র ধরে অপহরণের ২৩ দিন পর অপহৃত ১৪ বছরের ধর্ষিতা কিশোরীকে খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার আমিরপুর এলাকা থেকে অপহরণকারী বিশ্বজিৎ কে আটক এবং অপহৃত ধর্ষিতা কিশোরীকে উদ্ধার করেছে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত্র সাড়ে ৩ টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার এসআই নকিব পান্নু খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার ও আটক করে নিয়ে আসে। আটককৃত বিশ্বজিৎ মন্ডল (৩০)পাইকগাছা থানার আমিরপুর গ্রামের শংকর মন্ডলের পুত্র।
উক্ত ঘটনায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের বেড়াখালী গ্রামের অমল সরকারের স্ত্রী নয়ন তারা বাদী হয়ে রবিবার (২৮ এপ্রিল) কালিগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে ধর্ষণ ও অপহরণের একটি মামলা দায়ের করেছেন। থানা মামলা সূত্রে জানা গেছে কালিগঞ্জ উপজেলার বেড়াখালী গ্রামের অমল সরকারের কন্যা জয়া সরকার প্রতিদিনের ন্যায় গান শেখার জন্য ফতেপুর সাংস্কৃতিক পরিষদে যাওয়ার পথে পূর্ব সূত্র এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিষ্ণুপুর বোনের জাঙ্গাল নামক স্থান হতে বিশ্বজিৎ ও তার ২/৩ জন সহযোগী তাকে অপহরণ করে একটি মাইক্রো বাসে করে নিয়ে যায়।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে অপহৃতের মা নয়ন তারা বাদী হয়ে গত ৫ এপ্রিল কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। কালিগঞ্জ থানা সাধারণ ডায়েরি নং ২৩৪। এরমধ্যে অপহৃত জয়াকে নিয়ে স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল । এর ২৩ দিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত্রে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদেরকে পাইকগাছা থানার আমিরপুর গ্রাম থেকে শঙ্করের বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও বিশ্বজিৎ কে আটক করে কালিগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে ধর্ষিতা কিশোরীর মাতা নয়নতারা বাদী হয়ে ২৮ এপ্রিল কালিগঞ্জ থানা একটি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনায় গতকাল রবিবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে অপহৃত ধর্ষিতা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা এবং বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী সম্পন্ন হয়েছে বলে মামলা তদন্তরকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক নকিব পান্নু নিশ্চিত করেন।আটককৃত ধর্ষণকারী বিশ্বজিৎকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন পুলিশ ।
তবে বিষয়টি সম্পর্কে নাম প্রকাশ না করার সত্তে¡ স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় কয়েকজন জানান পূর্ব আত্মীয়তার পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠায় তারা স্বেচ্ছায় পালিয়ে বিয়ে করে ঘর সংসার করছিল। এর আগেও এই উদ্ধারকৃত ভিকটিমের সঙ্গে অন্য একটি ছেলের বিবাহের পরে বিচ্ছেদ ঘটে। বিষয়টি নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে নানান গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করলে আসল রহস্যে বেরিয়ে আসবে বলে সকলের ধারণা।