রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

সাতক্ষীরায় ঘরে ঘরে চলছে ধান কাটার মহোৎসব

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ

শামীম রেজা : “সোনালী শীষের সোনার ধানে মাঠ গিয়েছে ভরে,তাইতো তাদের ধুৃম পড়েছে ধান তুলিতে ঘরে” সাতক্ষীরার মাঠে মাঠে কৃষকদের ধান কাটা,মাড়াই ঝাড়াই শেষে ধান ঘরে তোলা ও চাল তৈরি করার সিদ্ধকরা ও শুকানোর মহোৎসব চলছে। এবছর সাতক্ষীরা জেলায় গতবছরের তূলনায় এবছর ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক বইছে।

তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে কৃষক কৃষাণীরা দিনরাত সোনালী শীষের পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইরি ধান ঘরে তোলার ভরা মৌসুমে সাতক্ষীরার হাজার হাজার দিনমজুর শ্রমিক ইতোমধ্যে বেশি মজুরিতে কাজ করতে বিভিন্ন জেলায় চলে যাওয়ায় শ্রমিক সংকটের কারণে দ্বিগুন মুজুরি দিয়ে কৃষকদের ধান ঘরে তোলার ধুম পড়েছে। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা সমান তালে ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে।

সাতক্ষীরার মূল শ্রমিকের এক তৃতীয়াংশ নারী শ্রমিক পুরুষের পাশাপাশি ধান কাটায় নিয়োজিত। এ বছর সাতক্ষীরা জেলায় ইরি বোরো ধান লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবছর সরকারি ভাবে ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ৩২টাকা। সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি বাম্পার ফলন হয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায়।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন জানান-সাতক্ষীরা জেলায় এবছর সর্বমোট ৭৯ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে ইরি ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৭৭১ মে.টন।এর মধ্যেহাইব্রিড ধান ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর, ফলন-৪.৭৮=১লাখ১৭হাজার ৩৪৯ মে. টন, উফশী- ৫৫হাজার২৭০ হেক্টর, ফলন ৩.৯=৭২লাখ ১৯হাজার ৪২২মে. টন মোট= ৩লাখ ৩৬হাজার ৭৭১ মে. টন।

তিনি আরও জানান-সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় এবছর ২৩হজার ৫৮৫হেক্টর জমিতে ইরি ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। উৎপাদিত ধান থেকে চাউল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৭হাজার ২৭৭মে. টন। সাতক্ষীরায় ইরি বোরো ধানের বাম্পার ফলনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০-৩০শতাংশ ধান বেশি উৎপাদন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। অনুক‚ল আবহাওয়া ও কৃষি অফিসের নিরবিচ্ছিন্ন তদারকি, পরামর্শ ও সেবার কারণেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চলতি বছর বেশি ইরিধান উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে। যদিও শেষ মুহূর্তে শিলাবৃষ্টি জনিত কারণে বেশ কিছু কৃষকের জমির ধান আংশিক নষ্ট হয়ে গেছে। তা না হলে আরও বেশি ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা ছিল।

সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর কোমরপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান- এবছর আমি ৮বিঘা জমিতে ২৮ ধান চাষাবাদ করেছি। আমার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ১৩হাজার টাকা। কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে আমার সব জমির পাকা ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এখন বিঘা প্রতি ৯ থেকে ১০ মন ধান হতে পারে। শিলাবৃষ্টির কারণে আমার এবছর খরচের টাকা ওঠবে না।

ভালুকা চাঁদ পুর গ্রামের আদর্শ কৃষক এম এ মাজেদ ডাবলু জানান-আমি ৩ বিঘা জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ করেছি। বাম্পার ফলন হয়েছে। আমার ধান ঘরে তোলার শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। সদর ফিংড়ী ইউনিয়নের ফয়জুল্লাপুর গ্রামের আর্দশ কৃষক ও সাবেক মেম্বার শফিকুল ইসলাম জানান,তিনি এ বছর ১৬ বিঘা জমিতে ইরি ধান চাষ করেছে। তার ১৬ বিঘাতে জমিতে চাষাবাদে খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা।

তিনি প্রথম গত ৬ এপ্রিল জেলায় ইরি ধান কাটা শুরু করেছে। তার বিঘা প্রতি ২৮/২৯ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে। সদর বালিথা গ্রামের সাংবাদিক ও ইউপি সদস্য আরশাদ আলী জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে ইরি ধান চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি ধান ঘরে তুলেছেন। ২ বিঘা জমিতে ৬০ মণ ধান উৎপাদন করেছে।

দেবহাটার পারুলিয়ার কৃষক আঃ রাজ্জাক জানান, অনেক গরমে ধান কাটতে হচ্ছে। শ্রমিকদের বেশি মুজুরি দিয়ে ধান কাটছি। পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা ধান কাটছে। গত বছরের তূলনায় এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

কালিগঞ্জের কৃষক আমিনুর রহমান জানান, ৩ বিঘা জমিতে ইরিধান চাষ করেছি। গত বছরের তূলনায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছি। তীব্র গরমে অনেক শ্রমিকরা ধান কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তিনি বিঘা প্রতি ২৬ থেকে ২৮মন ধান উৎপাদন হবে বলে জানান। কলারোয়ার কৃষক জব্বার গাজী বলেন, চলতি বছর ইরি বোরো ধানের ফলন বাম্পার হয়েছে। কিন্তু তীব্র গরমে শ্রমিক সংকট দেখা গেছে। সাতক্ষীরার শ্রমিকরা জেলায় বাইরে গিয়ে মুজুরি বেশি নিয়ে ধান কাটছে। সে কারণে সাতক্ষীরার শ্রমিকদের বেশি মুজুরি দিয়ে ধান কাটা লাগছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে ৪০থেকে ৫০শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে এবং ৩০থেকে ৩৫শতাংশ জমির ধান কৃষকের ঘরে উঠে গেছে। আবহাওয়া এবং সার্বিক পরিবেশ অনুক‚লে থাকলে আগামী ১০থেকে ১২দিনের মধ্যে সব ধান কৃষকের কাটা মাড়ায় শেষ করে ঘরে তোলার কাজ শেষ হবে বলে একাধিক কৃষকরা জানিয়েছেন। তবে এবছর তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যেও বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কষ্ট করে হলেও কৃষকরা স্বস্তিতে দ্রæত ধান ঘরে তুলতে পারছেন বলে তারা জানান। স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ তাপ প্রবাহের মধ্যেও কৃষকরা দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করছেন বলে একাধিক শ্রমিকরা জানিয়েছেন।

তবে একাধিক দক্ষ ও অভিজ্ঞ শ্রমিকরা জানান- এখন ধান কাটার ভরা মৌসুম চলছে। তাই দৈনিক ১৬/১৮ ঘন্টা কাজ করছি এবং মজুরি হিসেবে ১থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। তীব্র গরমে সারা দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা অসহনীয় কষ্টের মধ্যেও তৃপ্তির ঢেকুর তুলে ধুমধাম করে ঘরে ধান তোলার জন্য ব্যাবস্থা সময় পার করছেন বলে একাধিক কৃষকরা জানিয়েছেন।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

চৌমুহনী হাইস্কুলে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

সফল উদ্যোক্তা হতে চায় তাসফিয়া পারভীন

কালিগঞ্জে দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে বাজার গ্রাম সার্বজনীন পূজা মন্ডপের প্রস্তুতি সভা

কালিগঞ্জে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে কেককাটা ও দোয়া

ইটাগাছা পূর্বপাড়ায় কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন কালু’র ঈদ উপহার বিতরণ

আলিপুরে দ্রব্য মূল্য তালিকা না থাকায় এক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

বেনাপোলে হিরোইন সহ একাধিক মামলার আসামী গ্রেফতার

হাসিমুখ সেঞ্চুরী সাতক্ষীরার বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি চলমান

কুলিয়ায় হাত ধোয়া দিবস পালন উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভা

রাজগঞ্জে শিক্ষক আবুল কাসেমের ইন্তেকাল