মঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ২২শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

শ্যামনগরে টাকা দিলেই মিলছে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের ট্যাংক

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ১১:২৬ অপরাহ্ণ

বিলাল হোসেন, শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগর উপকূলে সুপেয় পানিসহ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারযোগ্য পানির সংকট নতুন কিছু নয়। এই সংকট নিরসনে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও তার সুফল পাচ্ছে না উপক‚লের মানুষ। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একাধিক প্রকল্প শুধু টাকা খরচের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। যে কারণে পানির সমস্যা সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।

মাঝে কোটিপতি বনে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট্যরা। বঙ্গোপসাগরের কাছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরার সর্বশেষ উপজেলা শ্যামনগর। সমুদ্রঘেঁষা হওয়ায় এই উপজেলার অধিকাংশ এলাকার পানি লবণাক্ত। তাই বসানো যায় না গভীর নলক‚পও। বর্ষাকালে পানিতে লবণাক্ততা কম থাকলেও শুকনো মৌসুমে মানুষকে মারাত্মক কষ্ট পোহাতে হয়। দৈনন্দিন কাজকর্ম সারতে ও পান করতে তখন একমাত্র অবলম্বন পুকুর এবং ধরে রাখা বৃষ্টির পানি। অথচ সেই পানির কষ্টে থাকা উপক‚লের গরীব অসহায় মানুষই পাচ্ছে না সরকারের এই সুবিধা।

অর্থের বিনিময়ে সরকারের এই মহৎ উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন সংশ্লিষ্টরা। উপকূলীয় অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সুপেয় পানির কষ্ট দূর করতে সমগ্রদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও উপকূলীয় জেলাসমূহে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ নামে দুইটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের বাড়িতে তিন হাজার লিটার বৃষ্টির পানি ধারণক্ষমতার পানির ট্যাংক ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি স্থাপনের উপকারভোগী প্রতি ব্যয় প্রায় ৪২ হাজার ২০০ টাকা (ভ্যাট ট্যাক্সসহ)।

এজন্য উপকারভোগীদের ১ হাজার ৫০০ টাকা হারে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়।তবে সরকারি বরাদ্দের এই পানির ট্যাংক বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের টেকনিশিয়ান দাবি করা ঠিকাদারের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা সমাজের বিত্তবান ও স্বচ্ছল চাকরীজীবীদের কাছে ১২ থেকে ১৭ হাজার টাকায় ফেরি করে বিক্রি করছেন এসব ট্যাংক। এই অনিয়মের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও জড়িত বলে অভিযোগ মানুষের।

ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ঠিকাদার প্রতিনিধির যোগসাজশে সরকারের কোটি কোটি টাকা তছরুপ হচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, খাবার পানি সংকটে থাকা প্রকৃত অসহায় দরিদ্র মানুষের পরিবর্তে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিত্তবান ও চাকরিজীবীদের মাঝে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হয়েছে।

অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ের ট্যাংকি পাওয়া বিত্তবান ও চাকরিজীবীদের দাবি, তিন হাজার লিটারের একটি পানির ট্যাংক দোকানে কিনতে গেলে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে শুনে তাদের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন তাঁরা। ফলে প্রকৃত উপকারভোগীরা বঞ্চিত হলেও বিত্তবানরা ১২ থেকে ১৭ হাজার টাকার বিনিময়ে একের অধিক সরকারি ট্যাংক ক্রয় করছেন। অথচ ট্যাংকের গায়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা হিসেবে লেখা আছে, ‘জলধারাটি ক্রয় ও বিক্রয় সমভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’ আটুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আল আমিন হোসেন বলেন, উপক‚লীয় এ অঞ্চলে সুপেয় পানি খুবই অভাব।

সরকার আমাদের এই উপক‚লীয় অঞ্চলের মানুষের কথা ভেবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে পানি পান করার জন্য পানির ট্যাংকি দিচ্ছে। কিন্তু পানির ট্যাংকি গরীব অসহায় মানুষ না পেয়ে এলাকার বিত্তবানরাই পাচ্ছেন। এলাকার বিত্তবানরা ১২ থেকে ১৭ হাজার টাকার বিনিময়ে ক্রয় করছেন সরকারি ট্যাংক। আর ব্যবহার করছেন গরুর গোয়াল, মুরগির খামারে। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আবাদচন্ডিপুর বনবিতলা

এলাকার আরশাদ আলী মির্জা বলেন, শ্যামনগরের সরকারি পানির ড্রাম (ট্যাংকি) বিক্রি হচ্ছে শুনে পাবলিক হেলথ (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর) অফিসে কাজ করা হাওলভাঙ্গী এলাকার হামিদের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা দিয়ে আমি একটি ড্রাম (ট্যাংকি) কিনেছি। শুধু আমি না আমার এলাকায় আরো ছয়-সাতজন কিনেছে। সবার কাছ থেকেই ১২ হাজার টাকা করে নেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে শ্যামনগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যে তালিকা পাওয়া গেছে সেই তালিকা অনুযায়ীই ট্যাংকি বিতরণ করা হচ্ছে। আমাদের দুর্নীতির কোন সুযোগ নেই। আমরা সাইডে যাওয়ার পরে অনেকে বলেছে টাকা দিয়ে ট্যাংক গুলো নিচ্ছে।

তার সাথে সুর মিলিয়ে কাজের ঠিকাদার প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম বলেন, অফিস থেকে যে তালিকা দেয়া হয়েছে, সেই তালিকা অনুযায়ী আমরা ট্যাংকি বিতরণ করছি। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম বলেন,বিষয়টা শুনেছি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিবো।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

কালিগঞ্জে সাংবাদিক ফজলুল হকের তালুই সাবেক এমপি ফরহাদ আহমেদ আর নেই

এসএসসি-৮২ ব্যাচ এর শিক্ষার্থী বন্ধুদের শ্রদ্ধা নিবেদন

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’২২ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

পাইকগাছায় গ্রীল ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান’র দাফন সম্পন্ন

কালিগঞ্জে স্বাস্থ্য পুষ্টি ও স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবার মান উন্নয়নে আলোচনা সভা

বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি, সাতক্ষীরা জেলা শাখার উদ্যোগে নবজীবন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সায়েন্টিফিক সেমিনার

সাতক্ষীরা ডিস্ট্রিক্ট হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্কের ত্রৈমাসিক এ্যাডভোকেসী সভা

জার্নালিজিয়াম ফর সুন্দরবন সাতক্ষীরা কমিটি গঠন : আহ্বায়ক উজ্জ্বল-সদস্য সচিব রাজিব

মাগুরা-তালতলা আলহাজ্ব আব্দুল হান্নান বিশ্বাস মাদ্রাসায় হাসিমুখ উপহার প্রদান

পৌরসভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে অভিযান শুরু