খুলনা অফিস : জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন চায়। ভোটের অধিকার চায়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চায়। এভাবে জুলুম করে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না উল্লেখ করে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, বর্তমানে যে ভয়াবহ দুর্যোগ চলছে তা শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়। এটি ক্ষমতাসীনদের অপরিকল্পিত উন্নয়নের সৃষ্ট দুর্যোগ। তথাকথিত উন্নয়নের নামে শুধু লুটপাট করা হয়েছে।
দেশে স্থানীয় সরকারের অদীন উপজেলা নির্বাচনের নামে টম এন্ড জেরির খেলা হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করে, নির্যাতন করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে, কবরবাসীদের নামে, হজ্ব পালনরতদের নামে, মৃত্যু শয্যায় থাকা নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, গুম, খুন করে ডামী নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের মসনদ মজবুত করছেন। আর শ্রমজীবী মানুষদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা তাদের অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সর্বক্ষেত্রে শ্রমিকদের ওপর শোষণ-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। শোষণ-নিপীড়নের অবসান ও শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বুধবার (০১ মে) বিকাল ৪টায় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগর, জেলা ও খালিশপুর আঞ্চলিক শ্রমিক দলের উদ্যোগে র্যালীপুর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হেলাল বলেন, গত ১৫ বছর অন্যায় অত্যাচারের মধ্য দিয়ে বর্তমান তাবেদার সরকার ক্ষমতায় আছে। বিনা কারণে দেশের অনেক মানুষকে গুম করেছে খুন করেছে, অন্যায়ভাবে গ্রেফতার নির্যাতন করেছে। সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশের সবচে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী কওে রেখেছেন। প্রচন্ড দাপদাহে আওয়ামী লীগ নিশ্চুপ বসে আছে কেন। সাধারণ জনগণের কথা একটু ভাবুন। শ্রমবাজারে নিশ্চিত করতে হবে ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন। শ্রমিকরা ন্যায্য মুজুরি পাচ্ছে না, দ্রব্যমূল্যের প্রকোপে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সর্বনি¤œ মজুরী করতে হবে ২০ হাজার করার দাবি জানান।
মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, কে এম হুমায়ুন কবীর ঞভিপি হুমায়ুন), মুশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, আফসার উদ্দিন মাষ্টার, মিজানুর রহমান মিলটন, শ্রমিক নেতা উজ্জল কুমার সাহা, আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মাদ, মো. আলমগীর হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, হেলাল ফরাজী, নাসির উদ্দিন, যুবদলের কাজী নেহিমুল হক নেহিম, আব্দুল আজিজ সুমন, মহিলা দলের আরিফা চুমকি প্রমূখ। সমাবেশে সঞ্চালনা করে মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি ও জেলার খান ইসমাইল হোসেন। সমাবেশে শেষে বর্নাঢ্য র্যালী দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে দলীয় কার্যালয় এসে শেষ হয়।