সেলিম হায়দার : চলতি মৌসুমের সাতক্ষীরায় আম পাড়া শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়সূচি মোতাবেক আজ বৃহস্পতিবার (০৯ মে) থেকে কয়েক জাতের আম পাড়া শুরু হয়। সাতক্ষীরা জেলা আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করার সংশোধিত ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৯ মে থেকে গোপালভোগ, বোম্বাই,গোলাপখাস, বৈশাখীসহ অন্যান্য স্থানীয় জাতের আম, ১১ মে থেকে গোবিন্দভোগ,২২ মে থেকে হিমসাগর,২৯ মে ল্যাংড়া ও ১০ জুন থেকে আম্রপালি আম পাড়ার দিন ঠিক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তালা সদরে বারুইহাটি গ্রামে দেখা যায় আমচাষি আছাদুজ্জামান রাজু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী গোপালভোগ আম গাছ পাড়া শুরু করেছে। রাজু জানান, এবার আমের ফলন ভালো হয়নি। বাগান লিজ নিলে অনেক টাকা খরচ হয়। বাগান পরিচর্যা, পোকামাকড় মুক্ত করতে ওষুধ প্রয়োগ, ফলনের পর বাজারজাত, শ্রমিকের পেছনে অনেক টাকা ব্যয় হয়। ফলন ভালো হলে আমাদের লাভ হয়। এবার আশা করছি লাভের মুখ দেখব কম।
আমচাষি মিলন জানান, ৮ তারিখ থেকে গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, বৈশাখীসহ আম ভাঙা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।’ তালা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, উপজেলায় ৭১৫ হেক্টর আমবাগান রয়েছে। গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, গোলামখাস, বৈশাখীসহ বিভিন্ন জাতের আম আজ থেকে পাড়া শুরু হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরার আমের সুখ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরার আম বিদেশে রপ্তানি হয়। কয়েক বছর ধরে আম পাকার সময় পর্যালোচনা করে আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করা হয়। আমের মান ঠিক রাখতে জেলা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও আমচাষিদের সঙ্গে আলোচনা করে কাজটি করা হয়।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর রপ্তানি হয় সাতক্ষীরা জেলার আম। সব মিলিয়ে এবার আম থেকে ২৫০ কোটি টাকার বেশি আয় হবে। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ৬৮ হাজার ৮১৯ মেট্রিক টন। বিক্রি থেকে আয় হয় ২৫৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা।