পাইকগাছা প্রতিনিধি : প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর পরই পাইকগাছায় নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ব স্ব কর্মী সমর্থকদের আইডি থেকে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে প্রচারণা। যার কথা বলা হচ্ছে – ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ৩য় ধাপের তফশিল অনুযায়ী খুলনার পাইকগাছায় প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১ টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন এর কার্যালয়ে ৬ জন চেয়ারম্যান, ৮ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ সর্বমোট ১৮ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন।
চেয়ারম্যান পদে “মোটর সাইকেল ” প্রতীক পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু, “আনারস” প্রতীক পেয়েছেন কৃষ্ণপদ মন্ডল, দোয়াত- কলম প্রতীক পেয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. শেখ আবুল কালাম আজাদ, ” চিংড়ি” মাছ প্রতীক পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস,”কাপ-পিরিচ” প্রতীক পেয়েছেন এড. স ম শিবলী নোমানী রানা ও “হেলিকপ্টার” প্রতীক পেয়েছেন আছাদুল ইসলাম।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দীন ফিরোজ বুলু পেয়েছেন তালা, বজলুর রহমান পেয়েছেন টিয়া পাখি, মিলন মোহন মন্ডল পেয়েছেন আইসক্রীম, সুকুমার চন্দ্র ঢালী পেয়েছেন উড়োজাহাজ, সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন মাইক, ফরহাদ হোসেন ফয়সাল পেয়েছেন টিউবওয়েল, বাবুল শরীফ পেয়েছেন বই প্রতীক এবং এস এম হাবিবুর রহমান পেয়েছেন চশমা। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী পেয়েছেন পদ্ম-ফুল, ইয়াসমিন বুসরা পেয়েছেন কলস, ময়না খাতুন পেয়েছেন হাঁস ও অনিতা রানী মন্ডল পেয়েছেন ফুটবল প্রতীক। উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর প্রতীক পেয়েই প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে মাইকিং, গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ সহ বাহারী প্রচারণা।
প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে চিংড়ি প্রতীকের প্রার্থী আনন্দ মোহন বিশ্বাস এর গনসংযোগ। তিনি খুলনা জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে থেকে প্রতীক নিয়ে উপজেলার কাশেমনগর সীমান্তে পৌঁছালে শত শত কর্মীসমর্থকরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করতে দেখা যায়। তিনি পায়ে হেঁটে সাধারণ মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর প্রথমে কপিলমুনি জাফর আউলিয়ার মাজার জিয়ারত এবং পরবর্তীতে কপিলেশ্বরী কালী মন্দিরে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন।
এসময়ে তিনি কপিলমুনি বাজার সহ অন্যান্য জায়গায় গনসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় সভা করেন। মোটর সাইকেলের বিশাল বহর ছিল চোখে পড়ার মতো। চেয়ারম্যান পদে “মোটর সাইকেল “প্রতীক পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু। তিনি প্রতীক পাওয়ার পর তার পিতা-মাতা কবর ও পরবর্তী তবে কপিলমুনি জাফর আউলিয়ার মাজার জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। পরবর্তীতে তিনি রাড়ুলী ইউনিয়নের ষষ্ঠীতলা সহ বিভিন্ন জায়গায় গনসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় সভা করেন বলে জানান।
“আনারস” প্রতীক প্রার্থী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল ও দোয়াত- কলম প্রতীক প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. শেখ আবুল কালাম আজাদ কে পৌরসভার সহ বিভিন্ন স্থানে গনসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও মতবিনিময় সভা করেছেন বলে জানান। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রাও স্ব স্ব প্রতীক নিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন।