শনিবার , ২৫ মে ২০২৪ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

আইলার ১৫ বছরেও ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারিনি উপকূলের মানুষ

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
মে ২৫, ২০২৪ ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ

বিলাল হোসেন, শ্যামনগর ব্যুরো : প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আইলার ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি উপকূলের মানুষ। একের পর এক দুর্যোগের কারণে ওই অঞ্চলে জীবন-জীবিকার ঝুঁকি বেড়েছে। যে কারণে সাধারণ মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। দুর্যোগ ও লবণ পানির আগ্রাসন থেকে বাঁচতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সুপেয় পানি সরবরাহে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হলেও তার বাস্তবায়ন কাজ চলছে ধীরগতিতে।

সিডরের দুই বছরের মধ্যে উত্তর ভারত মহাসাগরে জন্ম নেয় ঘূর্ণিঝড় আইলা। ২০০৯ সালের ২১ মে ভারতের কলকাতা থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ওই ঝড়ের সৃষ্টি হয়। ঘূর্ণিঝড়টি ২৫ মে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে ও ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাংশে আঘাত হানে। টানা ১৫ ঘণ্টার ঝড় ও ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ¡াসে গোটা উপক‚লীয় এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। শ্যামনগরের উপক‚ল জনপদের বিভিন্ন এলাকায় দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকার পর এলাকা লবণ পানিতে তলিয়ে যায়।

এ ঝড়ে বহু কাঁচা-পাকা ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষেত ও মাছের ঘের ভেসে গিয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়। নিহত হয় শিশুসহ ৭৩ জন নারী-পুরুষ। এর মধ্যে ৫৩ জন মারা যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে। বাকি ২০ জন পার্শ্ববর্তী পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। হাজার হাজার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়। উপক‚লজুড়ে দেখা দেয় অর্থনীতি সংকট। সরেজমিনে জানা গেছে, আইলার সেই ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি উপক‚লবাসী। এরপর ২০১৯ সালের ৪ মে ফণী, ওই বছরের ১০ নভেম্বর বুলবুল, ২০২০ সালের ২০ মে আম্ফান, ২০২১ সালে ২৬ মে ইয়াস, ২০২২ সালের ১২ মে আসনি এবং সর্বশেষ গত ১৪ মে ‘মোখা’ আঘাত হানে।

১৫১ কিলোমিটার বেগে আঘাত হেনেছিল আম্ফান। এতে আবারও তছনছ হয়ে যায় উপক‚ল। এতে বহু মানুষ গৃহহারা হয়ে রাস্তার উপর আশ্রয় নেয়। সাধারণ মানুষের খাদ্যসংকট তীব্র আকার ধারণ করে। দেখা দেয় সুপেয় পানির সংকট। জেলা সদরের সঙ্গে উপজেলাগুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

আইলার পর অনেক দাতা সংস্থা ও জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের উপক‚লীয় অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করেন। তারা টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শের আলোকে পুরনো বাঁধ সংস্কারের পাশাপাশি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে এক হাজার ২৩ কোটি টাকার ‘সাতক্ষীরা জেলার পোল্ডার নম্বর-১৫ পুনর্বাসন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প ২০২১ সালে এবং ২০২২ সালে পাশ হয়। আরেকটি প্রকল্প এবং একই বছরে উপক‚লে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে ৯৬১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে পাস হয়।

এই মেগাপ্রকল্পগুলোর পাশাপাশি বেশকিছু ছোট ছোট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ওই সকল প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কাজে ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। এমনকি স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঘূর্ণিঝড় আইলার ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দাতা সংস্থা, এনজিও, সামাজিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দুর্যোগকবলিত মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসেন। আইলার পরে দুর্গত এলাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার কয়রা উপজেলায় এক জনসভায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ উপক‚লীয় অঞ্চলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণার এবং সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো গৃহীত প্রকল্পগুলো যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় উপক‚লীয় জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপক‚লের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। উপক‚লজুড়ে সুপেয় পানির সংকট বাড়ছে। অনেক এলাকার জমি ও চিংড়ির ঘের এখনো চাষের উপযোগী না হওয়ায় কৃষকদের অনেকে এখন দিনমজুর।

এরপর লবণাক্ততার আগ্রাসনে কৃষিকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর কর্মসংস্থানের অভাবে স্থানীয়রা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় নেওয়া ওই সকল পদক্ষেপ যথেষ্ট নয় বলে দাবি করেছেন পরিবেশ জলবায়ু পরিষদের সাতক্ষীরা জেলার সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ইলাহী আরো বলেন , ‘ঘূর্ণিঝড় আইলার পর গত ১৫ বছরে কয়েকটি বড় দুর্যোগ মোকাবেলা করে টিকে আছে উপক‚লের জনগণ।

অনেকেই বাধ্য হয়ে এলাকা ছেড়েছে। কিন্তু অধিকাংশের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার উপায় নেই। তাই ওই জনপদকে রক্ষার পাশাপাশি মানুষের জীবিকা টিকিয়ে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে রক্ষাকবচ সুন্দরবন সুরক্ষায় সকলকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।’ এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, একের পর এক দুর্যোগে এলাকাবাসীকে নিঃস্ব করে ফেলেছে। অসহায় মানুষ বাধ্য হয়ে বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। চাইলেও তাদের সেখান থেকে সরানো সম্ভব হচ্ছে না। ফসলি জমিতে লোনাপানি আটকে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছেন তারা। ফসল না হওয়ায় অভাবের তাড়নায় মানুষ শহরে চলে যাচ্ছে। তবে মানুষের সমস্যা সমাধানে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলো কাজ করছে।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

সাতক্ষীরায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ জুলফিকার আলম শিমুল’র সংবর্ধনা

সদর উপজেলা পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা

কালিগঞ্জে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রেস ব্রিফিংয়ে ১৭ বিজিবির অধিনায়ক

বালিথায় বিএনপি’র অফিস উদ্বোধন

সাতক্ষীরার সকাল পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে ইফতার নিয়ে রুপভান বিবির পাশে দাঁড়ালেন নূরনগর মানবতার কল্যাণ ফাউন্ডেশন

আশাশুনি প্রেসক্লাবে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এড: শহিদুল ইসলাম পিন্টুর মতবিনিময়

গভীর রাতে উত্তর কাটিয়ায় পৌর কৃষকলীগের অফিস ভাংচুর

দেবহাটায় আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা

শ্যামনগরে নিরাপদ খাবার পানির দাবিতে বিক্ষোভ

পৌরসভা ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির অবহিতকরণ সভা