জি এম আমিনুর রহমান, উপক‚লীয় প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ইট ভাটার ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে পলাশ আউলিয়া (১৮) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৫ মে) সকাল ৯টর দিকে উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াবেকী- আড়পাঙ্গাশিয়া সড়কের বড়কুপট এলাকার মেসার্স জামান ব্রিকসের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পলাশ উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের জেলেখালি এলাকার ভোলানাথ আউলিয়ার ছেলে ও নওয়াবেকী ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্র। নিহত পলাশের সহপাঠী রিয়াদ হোসেন ও সুদীপ মন্ডল জানান, পলাশ আটুলিয়া ইউনিয়নের বয়ারশিং গ্রামে তার দাদু শচীন মন্ডলের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো।
সকালে সেখান থেকে সহপাঠী সাদিকের মোটরসাইকেলে করে কলেজে আসার পথে মেসার্স জামান ব্রিকসের সামনে পৌঁছালে একটি ডাম্পার ট্রাক্টর তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এসময় পলাশ ছিটকে ডাম্পারের তলায় পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে পলাশের মৃত্যু হয়।
তবে সাথে থাকা সহপাঠী সাদিক প্রাণে বেঁচে যায়। এদিকে, এই ঘটনা পরে ক্ষুব্ধ মানুষ ঘাতক ডাম্পারটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও জামানের ইট ভাটা (মেসার্স জামান ব্রিকস) ভাঙচুর শুরু করে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত (২৩ মে) বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় নওয়াবেকী দিকে থেকে আসা মটর সাইকেল আর শ্যামনগর থেকে আসা ডাম্পার গাড়ি হায়বাতপুর বিদ্যালয়ের সামনে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনা স্থালে মটর সাইকেল চালক নিহত হয়।
নিহত মটর সাইকেল চালক শ্যামনগর সদর ইউনিয়নের দাঁতপুর গ্রামের মৃত গফফর শেখের ছেলে আব্দুল করিম (৩২)। ডাম্পার গাড়িটা আটক করে থানা নিয়ে গেলেও ওই ঘটনার কোন মামলা হয়নি।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।