সোমবার , ২৭ মে ২০২৪ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

রেমালের প্রভাবে সাতক্ষীরায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি: দমকার হাওয়ার সাথে বৃষ্টি

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
মে ২৭, ২০২৪ ১১:৪৭ অপরাহ্ণ

সকাল ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে সাতক্ষীরায় উপক‚লবর্তী শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জে হালকা বৃষ্টির সাথে দমকা বাতাস বইতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে উপক‚লীয় এলাকার অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করেছেন। উপক‚লীয় এলাকার খেয়াঘাটগুলোতে মানুষের উপস্থিতি অনেকটা কমে গেছে।

এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। উপক‚ীয় এলাকায় সকাল থেকে মাইকিং করে জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আতঙ্কে রয়েছে উপক‚লবাসী। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে উপক‚লের মানুষ। আগের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে গৃহহারা হয়ে পাউবো’র বেড়িবাঁধ অথবা উঁচু কোন স্থানে টোং ঘর বেঁধে বসবাসকারি লোকেরা ফের বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন। ফলে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ¡াস থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ রক্ষায় এগিয়ে এসেছে স্থানীয়রা।

আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সুভদ্রাকাটি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পাউবো’র বেড়িবাঁধ মেরামতে শনিবার রাত থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছে গ্রামবাসী। রাতে আলো জ্বালিয়ে তারা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতে মাটির কাজ করছে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ¡াসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের ভাঙন রোধে রোববার সকাল থেকে নৌকায় করে উপক‚লের বিভিন্ন এলাকায় জিও রোল পাঠানো হচ্ছে। অপরদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে ১৬৯টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

একই সাথে বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের দ্রæত নিরাপদ স্থানে ফিরে আসতে অনুরোধ করা হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার সকালে উপক‚লের নদ-নদীতে জোয়ার শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় চার থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নদী এখন পর্যন্ত উত্তাল রূপ ধারণ করেনি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সকালে ঘোলা ত্রীমোহনী, ঝাপালি, নওয়াবেঁকী, পাখিমারা ও নীলডুমুর খেয়াঘাট এলাকায় মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেছে। নীলডুমুর ও বুড়িগোয়ালিনী এলাকার পাওবো বাঁধের ভিতরে দোকানপাঠে নদীর পানি উঠতে শুরু করেছে।

আশাশুনি উপজেলার বিছট গ্রামের রুহুল আমিন মোড়ল জানান, রোববার সকাল থেকে হালকা বৃষ্টির সাথে দমকা বাতাস বইতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ। যেনতেনভাবে সংষ্কার করা পাউবো’র এই বেড়িবাঁধ ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ¡াসের কারণে যেকোন মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুধুমাত্র বাঁধ ভেঙে গেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এসে দেখে চলে যায়। পরে ঠিকাদার নিয়োগ করে দায়সারা গোছের কাজ করে চলে যান। কিছুদিন পর বাঁধ ভেঙে আবার আগের অবস্থা ফিলে আসে। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে টেকসই বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয় না।

তিনি পাউবো’র ৭/২ পোল্ডারের বিছট গ্রামের টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালীনি গ্রামের সাহেব আলী জানান, শনিবার সকালে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন থেকে চার ফুট পর্যন্ত বেশি হয়েছে। পরে আরও এক ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্ব সতর্কতা থাকায় পার্শ্ববর্তী খোলপেটুয়া, মালঞ্চ, আড়পাঙ্গাশিয়া নদীসমুহের জেলেরা শনিবার মাছ ধরতে নামেনি। এছাড়া সাগর ও সুন্দরবনে অবস্থানরত জেলেরা এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনসহ সকল টহলফাঁড়িতে অবস্থানরত বনকর্মীদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন ও সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের লোকালয়ে ফিরতে পরামর্শ দিয়ে তাদের উদ্ধারে বনকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বন বিভাগের এ কর্মকর্তা আরও জানান শনিবার সকালের জোয়ারের পানি তার অফিসে যাওয়ার একমাত্র পায়ে চলা রাস্তার উপরে উঠার উপক্রম হয়েছিল। এদিকে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এম সালাউদ্দীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে দুপুর দুইটার দিকে স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্যামনগরকে ঘিরে থাকা উপক‚ল রক্ষা বাঁধের প্রায় ১২৯ কিলোমিটারের মধ্যে সাত/আটটি পয়েন্টের প্রায় দুই কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ।

ইতিমধ্যে মাটি ফেলে উচ্চতা বৃদ্ধিসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে বাঁধের ভাঙন ও ধস ঠেকানোর কাজ চলছে। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, তার বিভাগের আওতাধীন ১৫ এর অধিক পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। এই মুহূর্তে ৫/৬টি পয়েন্টে কাজ চলছে। পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ ও জিও রোল মজুদত রয়েছে। এখন আমরা ৭/২ পোল্ডারের বিছট গ্রামের ভাঙন পয়েন্টে বেড়িবাঁধে জিও রোলের কাজ করছি। পর্যায়ক্রমে সবগুলো পয়েন্টে কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিবুল আলম বলেন, উপজেলার ১৬৯ সাইক্লোন শেল্টারকে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছয় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীকে জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় তৈরি থাকার জন্য বলা হয়েছে। শুকনা খাবারসহ নগদ অর্থ মজুদ রাখা হয়েছে। প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধির সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। উপক‚লের মানুষকে সাইক্লোন শেল্টারসহ নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

বিজিবি’র অভিযানে তলুইগাছা থেকে ১০ কেজি রূপার গহনা ও মোটরসাইকেলসহ আটক-২

কুখরালী আর্দশ যুব সংঘ ক্লাবে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প

শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদে গাছের চারা বিতরণ করলেন আ.লীগ নেতা স্বপন

মণিরামপুরে পিএফজি’র ফলোআপ মিটিং

টাকা ভর্তি মানিব্যাগ ফেরত দিলেন ভ্যান চালক আমিনুদ্দিন মোড়ল

পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধকরণ ও সবুজ স্বেচ্ছাসেবক তৈরিতে স্কুল ক্যাম্পেইন

নাগরিক প্লাটফর্মের আয়োজনে সাতক্ষীরায় টকশো অনুষ্ঠিত

ব্রহ্মরাজপুরে লাঙ্গল প্রতীকের কর্মী সমাবেশ

হতদরিদ্রদের মাঝে জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কম্বল বিতরণ

এমপি রবির সাথে এল্লাচর আশ্রায়ন প্রকল্পের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়