বিলাল হোসেন শ্যামনগর ব্যুরো : রেমাল আতঙ্কে উপক‚লের মানুষ জানমাল রক্ষা করতে বিভিন্ন ব্যাবস্থা নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকে। ঘূর্ণিঝড় ইতি মধ্যে উপকুলে প্রভাব ফেলা শুরু করেছে। যত সময় পার হচ্ছে নদীর জোয়ারের পানি বাড়ছে সাথে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে আশ্রায়ণ কেন্দ্রে আশ্রায় গ্রহনের নির্দেশনা দিচ্ছে। মধ্যে রাতে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত আনতে পারে উরক‚লে।
সেই আতঙ্কে ২০ দিনের নবজাতক শিশু মোঃ ছাব্বির হোসেন তার দাদির কোলে চড়ে বিকাল ৪ দিকে গাবুরা চাঁদনিমুখা মান্নান মেমোরিলা আশ্রায়ণ কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়। নবজাতক শিশু ছাব্বির হোসেন গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনিমুখা গ্রামের শহিদুল শেখের ছেলে।
বাবা শহিদুল শেখ বলেন, আমার ২০ দিনে ছেলে সন্তানকে নিয়ে আগে থেকে আশ্রায়ণ কেন্দ্রে নিরাপদ আশ্রায় নেওয়ার জন্যে উঠেছি। ঝড় আসলে আমাদের গাবুরা আগে ডুবে যায় তাই ছোট বাচ্চা নিয়ে আগে ভাগে আশ্রায়ণ কেন্দ্রে আসলাম।
গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদল আলম বলেন, রাতে আঘাত আনতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সেই লক্ষে আমরা এলাকার প্রায় সব মানুষকে আশ্রায়ণ কেন্দ্রে আনের চেষ্টা করছি। অধিকংশ মানুষ আশ্রায় কেন্দ্রে এসে গেছে। বাকির আসতে শুরু করেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ শহিনুল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় ১৬৩ টি আশ্রায়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। সাড়ে ৩ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে। উপজেলায় ৩ হাজার কেজি শুকনা খাওয়ারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে চাউল ১০ কেজি, ডাল ১ কেজি, তৈল ১ লিটার, চিনি কেজি,মসলা ৪ শত গ্রাম।