কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : মানুষ মানুষের জন্য, চিরন্তন এই বাণী শোনা গেলেও এটি অন্তরে ধারণ করে চলেছেন কালিগঞ্জের মেধাবী শিক্ষার্থী রেজওয়ান ইভান। এলাকায় মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিত তিনি অসহায় মানুষের সুচিকিৎসা, গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষায় সহায়তা, বাল্যবিয়ে রোধ, কন্যাদায়গ্রস্ত বাবার পাশে দাঁড়ানো, নারী নির্যাতন বন্ধ সহ বিভিন্ন সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সত্যি প্রশংসার দাবিদার।
এজন্য বেশ কিছু সম্মাননায় ভ‚ষিত হয়েছেন। তাছাড়া ড্রয়িং উইকিপিডিয়া ফেস্টিভ্যালে ১ম স্হান, রক্তিম সাহিত্য কেন্দ্রে থেকে হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় দুইবার ১ম স্হান হওয়ায় সম্মাননা পেয়েছেন। বর্তমানে এলাকার সকলে তাকে মানবিক ভাই বলে চেনেন। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের দেয়া গ্রামের কৃষক ইমান আলী গাজীর পুত্র। রেজওয়ান ইভান এ প্রতিবেদককে জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে দুস্থ ও এতিম শিশু, অসহায়, দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
তারপর নিজের সাধ্যমতো এগিয়ে যান আর্থিক সহযোগিতায়। তাছাড়া ব্যক্তিগত অর্থায়নে ক্ষুদ্র ভাবে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ শুরু করেন। তিনি সামাজিক সংগঠন বঞ্চিত নারী ও শিশু অধিকার উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উপজেলা সভাপতি সহ বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছেন।
তার সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে এতিম শিশুদের মান উন্নয়নে নগদ অর্থ সহ নতুন পোশাক প্রদান, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ প্রদান, প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের সুচিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্তা, শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, পিতৃহীন বিবাহ উপযুক্ত মেয়ের বিয়েতে সহযোগিতা প্রদান, রমজানে ইফতার বিতরণ, বৃক্ষরোপণ সহ কেয়ার বøাড ফাউন্ডেশন সংগঠনের সাথে সম্পর্ক থাকায় বিভিন্ন সময়ে মুুমূর্ষ রোগীদের জীবন বাঁচাতে রক্তদানে সহায়তা প্রদান।
এমন কয়েকটি সামাজিক এবং মানবিক কর্মকাÐের জন্য রেজউয়ান ইভান বেশ কিছু সংগঠন থেকে সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি বলেন, মানুষতো মানুষের জন্য, তাদের সেবা করে তৃপ্তি পাই। ভালো কাজ করি তাই এলাকার মানুষেরা আমার মনে প্রশান্তি জাগ্রত করে, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জোগায়। সরেজমিনে গেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী মনিরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, সাজু সহ স্হানীয়রা জানান, রেজওয়ান ইভান রনি গরিব পরিবারে জম্ম নিলেও তার মন অনেক বড়। সে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়ায় ও তাদের সাধ্যমতো সহযোগীতাও করে থাকেন।
তার পাশে থেকে আমরাও সহযোগীতা করে থাকি। আমরা চাই তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হোক। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে এক নববধূ বলেন, আমার পিতা গরিব অসহায়। বিয়ের সময় ব্যাপক টাকা খরচ ছিল। এই খরচ জোগাড় করা বাবার পক্ষে সম্ভব ছিল না। রেজওয়ান ইভান ভাইয়ের সহযোগীতা নিয়ে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আমি ও আমার পরিবার তার কাছে কৃতজ্ঞ। এ ব্যাপারে বীর মু্ক্িতযোদ্ধা আবুল বাশার বলেন, আমার এলাকার রেজওয়ান ইভান রনি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক ও মানবিক কাজ করে আসছে। সে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে তার মানবিক, উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজগুলো প্রশংসনীয়। আমি তার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।