শেখ সিদ্দিকুর রহমান : ‘স্মার্ট তারুণ্য বাঁচাবে অরণ্য’ স্লোগানকে সামনে রেখে বন্যপ্রাণী ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় সচেতনতা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে উৎসাহিত করতে দেশজুড়ে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মতো সারাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওয়াইল্ড লাইফ অলিম্পিয়াড ২০২৪। ১৩ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায়, নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ওয়াইল্ড লাইফ অলিম্পিয়াডের সাতক্ষীরা জেলা পর্ব আয়োজিত হয়।
সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৭২জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ জেলা অলিম্পিয়াডটি অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পর্যায়ে আয়োজিত সাতক্ষীরা অনুষ্ঠিত অলিম্পিয়াডে বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সরোওয়ার হোসেন।
উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন অধিদপ্তরের মৎস্য বিশেষজ্ঞ জনাব মফিজুর রহমান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক নাজমুল হাসান, আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল, নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক গাজী এবং উক্ত বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো: আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বন অধিদপ্তরের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়ে সকল স্তরে সার্বিক সচেতনতা তৈরি করার জন্য শিক্ষার্থীদের আহবান জানান।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল রক্ষায় আমাদের বৃক্ষনিধন রোধের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতিরপর্যাপ্ত বৃক্ষ রোপণ করতে হবে। বন্যপ্রাণী শিকার এবং পাচার রোধে সকলের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভা সাতক্ষীরা সভাপতি কর্ণ বিশ্বাস কেডি। উদ্বোধনের পর ৩০ মিনিটের পরীক্ষা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে স্কুল ও কলেজ ক্যাটাগরিতে ২০ জন বিজয়ী নির্বাচিত হয়।
জেলা পর্যায়ে আয়োজিত এই অলিম্পিয়াডে বিজয়ীদের মধ্য থেকে দুই ক্যাটাগরির মোট ৬ জন প্রতিযোগী পরবর্তীতে জাতীয় পর্যায়ে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। বিজয়ীদের পাশাপাশি জেলা পর্যায়ের এই অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে ই-সার্টিফিকেট। পরবর্তীতে জেলা পর্যায়ের এই বিজয়ীদের নিয়ে ঢাকায় আয়োজিত হতে চলেছে জাতীয় ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড। জাতীয় পর্বের বিজয়ীরা টি-শার্ট, সার্টিফিকেট ও মেডেল পাবে। জাতীয় পর্বের প্রতি ক্যাটাগরির ১ম, ২য় ও ৩য় বিজয়ী পাবে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজারটাকা।