ফজলুল হক, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলাধীন কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের মহৎপুর গ্রামের খান নূর মোস্তফা(৭৫) উর্ধ্ব নামে বৃদ্ধ বয়সের অসহায় এক অসুস্থ মুরুব্বীর ৮০ বছরের অধিক ভোগদখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তির বসত ঘরবাড়ি পরিকল্পিত ভাবে বাড়িতে ওই সময় কেউ অবস্থান না করার সুবাদে সুযোগ বুঝে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক তালাবদ্ধ ঘরের জানালা ও দরজা ভেঙে বেআইনি দলবদ্ধ ভাবে ঘরে প্রবেশ করে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা সন্ত্রাসী সৃষ্টি করে গায়ের জোরে প্রভাব বিস্তার করে জোরপূর্বক সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে বসত বাড়ির আধাপাকা ঘর ভাঙচুর করে ঘরের মধ্যে থাকা সাংসারিক যাবতীয় মালামাল লুটপাট করে নেয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, আসবাবপত্র সহ ৪ লক্ষ টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি করে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে ওই সম্পত্তি জবর দখল করে নিয়ে নতুন ঘর তৈরির অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ওই সম্পত্তির মালিক খান নূর মোস্তফা নিরুপায় হয়ে প্রথমত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি মেম্বার,কালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রকার প্রতিকার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে সম্পত্তি জবর দখলকারীদের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া সহ তাহার সম্পত্তি ফিরে পেতে এবং ন্যায় বিচারের আশায় সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত (০৯জুন) রবিবার রাত্র আনুমানিক আড়াইটার সময়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকা অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার একই এলাকার প্রতিবেশী মৃত আকবর আলী খানের পুত্র আজলম হোসেন, আকবর হোসেন খান, আজমল হোসেনের পুত্র রাজু আহমেদ, আজমল হোসেনের স্ত্রী খুকুমণি সহ ভাড়াটিয়া আরোও ১০/১২ জন লোকজন নিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে সন্ত্রাসী সৃষ্টি করে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে বেআইনিভাবে জবর দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ওই সময় স্থানীয় ও প্রতিবেশীদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে মেয়ে জামার বাড়ি থেকে ছুটে আসেন সম্পত্তি ও বাড়ির মালিক উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের মহৎপুর গ্রামের মৃত সুলতান আহম্মেদের ছেলে খান নুর মোস্তফা দীর্ঘ বছরের ভোগ দখলীয় বসবাসরত ঘরবাড়ি ভাঙচুর, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সহ সম্পদ লুণ্ঠন করে হাতিয়ে নেওয়ার সময় বাধা প্রদান করলে দুর্বৃত্তরা ৭৫ ঊর্ধ্ব অসুস্থ বৃদ্ধ নুর মোস্তফাকে ব্যাপকভাবে লাঞ্ছিত করে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
পরবর্তীতে পুনরায় ভুক্তভোগী কোন পথ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে কালিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে এবং ভুক্তভোগী খান নূর মোস্তফা সাংবাদিকদের জানান কালিগঞ্জ উপজেলার মহৎপুর মৌজার জেএল নং-৫৫ বি এস খতিয়ান নং-১৬৯, বর্তমান বি এস জরিপে ৫৪০,৫৪২,৫৪৫,৫৪৬,৫৪৯,৫৫৩,৫৫৬ নং দাগে সম্পত্তির পরিমাণ ২৮ শতাংশ যাহা এস এ রেকর্ডীয়র মালিক খান নূর মোস্তফার পিতা সুলতান আহমেদ খানের নামে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পিতার মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে বর্তমান জরিপে অনুযায়ী উক্ত ২৮ শতাংশ সম্পত্তি তাহার মাতা নুরজাহান বেগমের নামে বিএস রেকর্ড হয়।
পরবর্তীতে তাহার মায়ের মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তির উল্লেখিত মৌজার-দাগ খতিয়ান হইতে উত্তরাধিকার ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া সরকারি বিধি নিয়ম অনুযায়ী নিজ নামে রেকর্ড সংশোধনের মাধ্যমে ভিন্ন খারিজ খতিয়ান মোতাবেক খÐ খতিয়ান নং-(৬৪০) ৫৪০ ও ৫৫৬ দাগের মধ্যে ০১৬.৮ শতাংশ সম্পত্তির রেকর্ডীয়র মালিক খান নূর মোস্তফা যাহা বর্তমান বাংলা ১৪৩০ সন পর্যন্ত সরকারি খাজনাদি পরিশোধ করিয়া ভোগ দখলীয় থাকা অবস্থায় ০.০৭ শতাংশ সম্পত্তিতে নির্মাণাধীন আধা পাকা বসত ঘরবাড়ি হঠাৎ করে গত রবিবার (৯জুন) গভীর রাতে উল্লেখিত অভিযুক্ত দুর্বৃত্তরা একত্রিত হয়ে দলবদ্ধ ভাবে সন্ত্রাসী সৃষ্টি করে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে জোর পূর্বক প্রভাব বিস্তার করে বাড়ির সীমানার ঘেরাবেড়া কেটে দিয়ে বসত ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ভাঙচুর করে ঘরের মালামাল লুটপাট আত্মসাৎ করা সহ তাহার সম্পত্তি জবর দখলে নিয়ে খান নূর মোস্তফাকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে বিতাড়িত করে তাড়িয়ে দেয়।
উল্লেখিত ঘটনা সম্পর্কে জানতে গত ১৬জুলাই (রবিবার) সকালে সরজমিনে গিয়ে অভিযুক্ত আজমল হোসেন ও আকবর হোসেন গংদের সাথে কথা বললে তারা সাংবাদিকদের জানান আমাদের ভোগ দখলীয় কিছু অংশ সম্পত্তি ভুলক্রমে প্রতিবেশী মোছাঃ নুরজাহান বেগম ও তাহার ছেলে খান নুর মোস্তফার নামে রেকর্ড হয়। রেকর্ড অনুযায়ী সে প্রায় ২৫-৩০ বছর যাবত দখল করে ঘর নির্মাণ করে তার মাতা বসবাস করতেন। নূর মোস্তফার মাতা নুরজাহান বেগমের মৃত্যুর পর বিষয়টি জানতে পেরে পরবর্তীতে আজমল হোসেন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কার্যবিধি আইনে ১৪৫ ধারা মোতাবেক ১৩৭৮/২৩ নং একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ০৯মে-২০২৪ইং তারিখে আমাদের অনুক‚লে একটি রায় দেন। আদালতের রায় মোতাবেক আমরা জরাজীর্ণভাবে পরে থাকা বহু আগের পুরাতন ঘরটি ভেঙে দিয়ে আমাদের সম্পত্তি দখলে নিয়ে নেই। সম্পত্তি বে দখল করে নেওয়ার কারণে ওই উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খান নূর মোস্তফা বৃহস্পতিবার (২০জুন) কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাই চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অসুস্থ বৃদ্ধ নূর মোস্তফা পিতা ও মাতার ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া উল্লেখিত সম্পত্তির যাবতীয় রেকর্ড ও কাগজপত্র অনুযায়ী সঠিক ন্যায় বিচারের আশায় অসহায় হয়ে সকলের দুয়ারে ঘুরছে প্রতিকার পেয়ে বিষয়টি প্রশাসনের উদ্ধাতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও তাহার পরিবার বর্গ।