বাবলা আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জে প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসাধীন ৫৮ জনের মধ্যে কাব্যদত্ত (৫) নামের এক শিশুর মৃত্য হয়েছে। সে ডুমুরিয়া উপজেলার ছানাগাতী এলাকার উত্তম দত্তের একমাত্র ছেলে। ৫ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য পিযুশ রায়। ঘটনাটি উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামেই ঘটেছে। সকল রুগীর খোঁজ খবর নিলেন ইউএনও। সরেজমিন সুত্রে জানাগেছে, বিষ্ণুপুরের বানিয়াজাংলা বাসন্তিতলা পূজামন্ডপে পূজা অর্চনা প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
গত শুক্রবার (২১ জুন) পূর্ণিমার রাতে অনুষ্ঠান শেষে সকলের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। ঐ প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে বয়োবৃদ্ধ, শিশুসহ ৩৮ জন। স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার অলোক মন্ডলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিলেও অসুস্থদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সাতক্ষীরা মেডিকেলে ঐ রাতেই ভর্তি করা হয়। সোমবার (২৪ জুন) সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কাব্যদত্তকে খুলনায় নেওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে।
অপরদিকে গুরুতর অসুস্থ বিষ্ণুপুর গ্রামের অশোক দত্তের মেয়ে ও কাব্যদত্তের মা তিথি দত্ত (২৩), নিমাই সেন এর ছেলে দীপু সেন (৪২), চন্ডিচরণ দত্তের ছেলে সুব্রত দত্ত (৪২) ও অসীম দত্ত (৩২), পরিমল এর ছেলে রাম প্রসাদ (২০), সনজিদ দত্তের স্ত্রী রতœা দত্ত (৩৬), রামপ্রসাদ দত্তের মেয়ে সেরসী দত্ত, জগবন্ধু দত্তের ছেলে রাহুল দত্ত (১৭), তপন বিশ্বাস এর ছেলে রিপন বিশ্বাস (২০), অবনী বিশ্বাস এর ছেলে তপন বিশ্বাস (৪৫), সুধীর কর্মকারের ছেলে নিক্ত কর্মকার (৫০), নিষিপদ মন্ডলের ছেলে পিন্পু দত্ত (৩৮)। ঐ ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আব্দুলিল্লাহ এ প্রতিনিধিকে বলেন বর্তমানে অসুস্থ ব্যাক্তিদের পরিবারের বাড়িতে কেহ নেই, সকলেই হাসপাতালে।
আক্রান্ত পরিবারে চলছে অজানা এক আতঙ্ক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল কবীর জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যারা আছেন তারা আশঙ্কা মুক্ত। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এমন হতে পারে। কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ দীপু বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সকল রুগীর খোঁজখবর নেন এবং যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল কবীরসহ চিকিৎসকদের নির্দেশ দেন।